ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হুতিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে ফের আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০১:২৩, ৬ জুন ২০২৫

হুতিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে ফের আতঙ্ক

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। এবার হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের প্রথম বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন। তবে এ যাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র নয়, তারা ড্রোনের মাধ্যমে আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া এবং ভারতীয় টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুথি নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেল আল-মাসিরায় সম্প্রচারিত বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ‘ইয়াফা’ ক্যাটাগরির দুটি ড্রোন হামলা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলের বর্বরতা চলতে থাকলে আমাদের হামলা অব্যাহত থাকবে।

ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অবশ্য দাবি করেছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ড্রোন আগেভাগেই শনাক্ত করে ভূপাতিত করা হয়েছে। জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমো জানিয়েছে, ড্রোন হামলার ফলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইদানিং হুথি গোষ্ঠী ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের দিকে। একদিন আগেও একটি হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তারা, যা ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া, রুশ বার্তা সংস্থা তাস ও টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলার কারণে মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান অবতরণ করতে পারেনি এবং বিমানবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

এই হামলার দায় স্বীকার করে হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি আল-মাসিরায় বলেন, ফিলিস্তিনি-টু ক্যাটাগরির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমাদের হামলা সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মার্কিন আকাশযান আতঙ্কে অবতরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে।

হুথির বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরাইলকে সবদিক থেকে অচল করে দেওয়াই তাদের অন্যতম লক্ষ্য। যতক্ষণ গাজায় ইসরাইলের সহিংসতা বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ তারা হামলা চালিয়ে যাবে বলেও হুথি মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর আগেই হুথির পক্ষ থেকে ইসরাইলের নৌ ও আকাশপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সোমবারও বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুথি, যার ফলে ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে সাইরেন বাজানো হয়। বিরক্তিকর শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ইসরাইলিরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। আইডিএফ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল, আল কুদস এলাকা, পশ্চিম তীরের কিছু বসতি এবং দক্ষিণ সেক্টরের কয়েকটি অঞ্চলে বিমান হামলা সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বাজানো হয়। তারা দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে।

ফরিদ

×