
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, “ভাড়া করে আনা বিদেশি সরকার এসে পোর্ট নির্ধারণ করবে, করিডোর নির্ধারণ করবে, আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে—এই রাজনীতির দিন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ই আগস্টেই শেষ হয়ে গেছে।”
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করিডোর ইস্যু এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এ কথা বলেন ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, “আমরা বহু আগেই বলে আসছি, ৫ই আগস্টের পরে বিএনপি মহাসমাবেশে বলেছিল—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। অতীতেও এমন হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারার বাইরে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদি অন্য কোনো শাসনব্যবস্থার পথে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, “আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করছি না, কিন্তু একটি গোষ্ঠী এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা ১৭ বছর ধরে রাজপথে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, পরিচয় গোপন না করে আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন। তাই আমরা সংগঠিত, যে কোনো মুহূর্তে, ৬, ১২ বা ২৪ ঘণ্টার নোটিশে মাঠে নামতে প্রস্তুত।”
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এই উপদেষ্টাদের অনেকেই বাস্তবে বাংলাদেশে থাকেন না। যাঁরা ভাড়া করে আনা বিদেশি সরকার হয়ে পোর্ট-করিডোর নির্ধারণ করবেন, তাঁদের প্রভুদের খুশি করবেন—এই রাজনীতির দিন শেষ। এখন আমাদের স্লোগান একটাই—‘সবার আগে বাংলাদেশ।’”
প্রধান উপদেষ্টার এক বক্তব্য প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, “উনি যেভাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাজনক। তিনি তো আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ছিলেন, একজন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “করিডোর যদি সত্যিই বাংলাদেশের স্বার্থে হয়, তাহলে সেটি নির্ধারিত হবে পার্লামেন্টে নির্বাচিত সদস্যদের আলোচনা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানব না।”
সানজানা