
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া ইউক্রেনে তার আগ্রাসনের শুরু (২০২২) থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
শনিবার (১৭ মে) রাতে কিয়েভ, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রাশিয়া মোট ২৭৩টি বিস্ফোরক ড্রোন ও ডিকয় পাঠিয়েছে। এই আক্রমণকে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে তীব্র ও সমন্বিত হামলা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
এই হামলার মধ্যেই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সোমবার, যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলবেন।
শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আশা করছি এটি একটি ফলপ্রসূ দিন হবে, একটি যুদ্ধবিরতি হবে এবং এই সহিংস যুদ্ধ শেষ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ফোনালাপের মূল বিষয় হবে সেই ‘রক্তস্নান’ বন্ধ করা যা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫ হাজার রুশ ও ইউক্রেনীয় সৈন্যের প্রাণ নিচ্ছে, সেইসঙ্গে বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হবে।”
এর আগে শুক্রবার ইস্তাম্বুলে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে দীর্ঘদিন পর প্রথম সরাসরি আলোচনা হলেও কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। তবে উভয় পক্ষ ১,০০০ জন বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে, যা সাময়িক মানবিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ যুদ্ধের গতিপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
মিরাজ খান