
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের রাতের আঁধারে চালানো বিমান হামলার ‘উচিত জবাব’ দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, এমনটাই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ। চলমান উত্তেজনার মধ্যে ডাকা জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পেহেলগামের ঘটনার অজুহাতে পাকিস্তানে ভারতীয় হামলা ছিল হাস্যকর ও কাপুরুষোচিত।’
প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, ভারত ৮০টি যুদ্ধবিমান পাঠালেও কেবল পাঁচটি বিমানই হামলায় অংশ নেয় এবং তাদের সবকটিই ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির বাবরকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে, প্রচলিত ও পারমাণবিক—দুই ক্ষেত্রেই পাকিস্তান পুরোপুরি প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলী খান একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে পিপিপি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের ইতিহাস পাকিস্তানের পাশে। সাহস থাকলে ভারত খোলাখুলি যুদ্ধ ঘোষণা করে মাঠে নামতো। কিন্তু তারা কাপুরুষের মতো রাতে শিশুদের বুকে গুলি চালিয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারত আমাদের চেয়ে বড় হতে পারে, কিন্তু শত্রু যতো বড়, তাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া ততো সহজ।’
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারত যদি পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালায়, তাহলে আমাদের সামনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিকল্প থাকবে না। তার দায়ভার ভারতেরই নিতে হবে।’
এই সতর্কবার্তার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি অভিযোগ করেন, ‘ভারত একের পর এক আগ্রাসন চালিয়ে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে। আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে নয়াদিল্লি।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও সীমান্তে সেনা তৎপরতা বেড়েছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Kx0Hc60wvc0
রাকিব