ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কানাডায় বাংলাদেশিসহ নতুন অভিবাসীদের নিয়ে সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৯ অক্টোবর ২০২৩

কানাডায় বাংলাদেশিসহ নতুন অভিবাসীদের নিয়ে সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত।

কানাডায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নতুন অভিবাসীদের নিয়ে কানাডিয়ান সমাজ ও নিয়মে চলার পথ আরো সহজ করার লক্ষ্যে ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউকামারস রিসার্চ নেটওয়ার্কের’ উদ্যোগে সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দি বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্রিমিয়ার ক্যালগেরি প্লাজা হোটেলের কনফারেন্স সেন্টারে ‘মবিলাইজিং নলেজ অন নিউ কামার্স’এর তৃতীয় সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন :এস এ পরিবহন অফিসে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৫ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়। ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিউকামারস রিসার্চ নেটওয়ার্ক’ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করছে।

এবারের সিম্পোজিয়ামের মূল প্রতিপাদ্য ছিল– কীভাবে কানাডার দৃশ্যমান সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে গবেষণায় আরও ন্যায়সঙ্গত এবং ক্ষমতায়িতভাবে জড়িত করা যায়। দিনব্যাপী এই সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন সেক্টরের দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সিম্পোজিয়ামে একত্রিশটি মৌখিক উপস্থাপনা, চল্লিশটি পোস্টার উপস্থাপনা, দুটি কর্মশালা এবং একটি গোলটেবিল বৈঠক ছিল, যেখানে বাংলাদেশি অবিভাসীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

কানাডার বিভিন্ন রিসার্চার, পলিসি মেকার ও সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার মডেল থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আসা অভিবাসীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করাটা এখন খুবই জরুরি।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. তুরিন চৌধুরী জানান, নতুন আসা অভিবাসীরা কীভাবে বর্তমান সময়ের সঙ্গে কানাডিয়ান সিস্টেমকে সহজে উপলব্ধি করতে পারে এবং তাদের চলার পথকে আরও মসৃণ করার প্রত্যয় নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।

হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ সেন্টার ইনকের ফাউন্ডিং ডিরেক্টর জামান আরা জানান, একসময় আমিও নতুন অভিবাসী হয়ে কানাডায় এসেছিলাম। প্রথম আসার সেই অভিজ্ঞতার কথা এখনো মনে আছে। আজকের এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে নতুন আসা অভিবাসীরা অনেক কিছু শিখতে পারবে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জ্যাক মার্শাল জানান, এই ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা নতুন আসা অভিবাসী এবং কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই, যাতে করে তারা পরবর্তীতে কানাডিয়ান সিস্টেমের সঙ্গে সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষক/গবেষক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, সমাজকর্মী, সংগঠক ও মিডিয়া কর্মীরা তাদের কাজ এবং ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সবার সামনে তুলে ধরেন।

এম হাসান

×