ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খবর বিবিসির

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ আনলেন পুতিন

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ১০ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ আনলেন পুতিন

ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে সংযোগকারী সেতুর ওপর হামলা

ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে সংযোগকারী সেতুর ওপর হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়া। একে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে বর্ণনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী রাশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছে। 

তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার ব্যাস্ত্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন পুতিন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সেতু বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই সেতুতে একটি লরিতে বিস্ফোরণের সময় ওই তিনজন কাছেই একটি গাড়ির মধ্যে ছিলেন। এতে বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এখানে কোনো সন্দেহ নেই যে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য এটা একটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এই কর্মকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী এবং সুবিধাভোগীরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে আলেকজান্ডার ব্যাস্ত্রিকিন বলেন, রাশিয়ার নাগরিক এবং কিছু বিদেশি রাষ্ট্র এই হামলার প্রস্তুতির জন্য সাহায্য করেছে। তার মতে, তদন্তকারীরা প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, বিস্ফোরিত ওই ট্রাকটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, নর্থ ওসেটিয়া এবং ক্রাসনোদার অঞ্চল পাড়ি দিয়ে এসেছে।

এই বিস্ফোরণের কারণে ওই সেতুর সঙ্গে যুক্ত সড়কপথের কিছু অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি যাতে স্পষ্ট হয় যে, তারা এই হামলার পেছনে আছে।

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা পুতিনের অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, এখানে একটাই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আছে এবং সারা বিশ্ব জানে তারা কারা।

তিনি আরও বলেন, পুতিন কি ইউক্রেনকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে দায়ী করছে? এটা রাশিয়ার জন্য বিদ্রুপাত্মক। 

তবে শনিবার রাতের ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই সেতুতে বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি খারাপ দিন নয় এবং আমাদের রাষ্ট্রের ভূখণ্ডের জন্য রৌদ্রোজ্জ্বল। তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ক্রিমিয়া মেঘাচ্ছন্ন ছিল তারপরেও সেখানে উষ্ণতা ছিল।

এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুর সড়কের অংশ আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে তবে হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতুর রেল অংশ যেখানে তেলের ট্যাঙ্কগুলোতে আগুন ধরে গিয়েছিল সেটা খুলে দেওয়া হয়েছে।

১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ইউরোপের দীর্ঘতম এবং রাশিয়ার বাহিনীর জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধ করার রসদ সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। রাশিয়া এই পথ দিয়ে সামরিক যন্ত্রপাতি, বিস্ফোরক এবং সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠায়। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার চার বছর পর ২০১৮ সালে সেতুটি খুলে দেয় রাশিয়া।

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×