যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার থেকে বিদেশি স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করেছেন। এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ব্যবসায়ীরা উচ্চতর খরচ এবং সরবরাহ চেইনে বিঘ্নের আশঙ্কা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে গাড়ি, নির্মাণ সামগ্রী, খাদ্য প্যাকেজিং এবং ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে পারে। ফলে সাধারণ ভোক্তাদের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে, অনেক ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদ এই পদক্ষেপকে সমালোচনা করেছেন, কারণ এটি উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, গাড়ি শিল্পে প্রতিটি নতুন গাড়ির দাম $২,০০০ থেকে $৪,০০০ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে ২৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন স্টিল আমদানি করেছে, যার বেশিরভাগই কানাডা, ব্রাজিল এবং মেক্সিকো থেকে এসেছে। দেশীয় উৎপাদন এই চাহিদা পূরণে অক্ষম হওয়ায়, ব্যবসায়ীরা বিকল্প সরবরাহ উৎস খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কেও প্রভাব পড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীন পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে। বিশ্বব্যাপী বাজারে এই ঘোষণার পর শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বাংলাদেশের জন্যও এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, কারণ দেশটি অনেক কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করে। চীনা পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে, যা রপ্তানি প্রতিযোগিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। বিভিন্ন দেশ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে।
Jahan
