
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই ফুসফুসের ক্যান্সার একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির নাম। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ অনেক সময়ই প্রথম দিকে তেমন লক্ষণ না দেখানোর কারণে, রোগটি যখন ধরা পড়ে তখন তা পৌঁছে যায় মারাত্মক পর্যায়ে।
ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে ওপিডিতে পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, প্রতি ১০০ জন ফুসফুসের ক্যান্সার রোগীর মধ্যে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই রোগ শনাক্তের সময় ছিলেন এডভান্স স্টেজে।
কেন এমনটা হয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ হচ্ছে—ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গগুলো সাধারণ রোগের মতোই দেখা যায়। যেমন যক্ষা, অ্যাজমা বা সিওপিডির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, ফলে অনেকেই ক্যান্সারের ঝুঁকি চিন্তা করেন না।
তাহলে কোন কোন উপসর্গে সতর্ক হবেন?
🔸 চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা কাশি
👉 যদি কাশি দীর্ঘদিন কমে না, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
🔸 কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া
👉 এটি যক্ষার পাশাপাশি ক্যান্সারেরও উপসর্গ হতে পারে। অবহেলা করবেন না।
🔸 গলার স্বর ভেঙে যাওয়া
👉 হঠাৎ গলা বসে গেলে ভাববেন না এটা ঠান্ডাজনিত সমস্যা; যদি স্বাভাবিক না হয়, দ্রুত পরীক্ষা করুন।
🔸 শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা
👉 এগুলোও ফুসফুসে টিউমার বা ম্যালিগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে।
এছাড়াও কিছু সাধারণ উপসর্গ, যেগুলো অন্যান্য ক্যান্সারেও দেখা যায়—
🔸 ওজন কমে যাওয়া
🔸 ক্ষুধামান্দ্য (রুচি হ্রাস)
🔸 দেহের কোনো অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি
এসব লক্ষণ দেখা গেলে তা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সচেতনতাই প্রতিরোধের প্রথম ধাপ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয়ে দেরি হলে চিকিৎসার সুযোগও সীমিত হয়ে পড়ে। তাই উপসর্গগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা করানোই রোগ থেকে বাঁচার প্রধান উপায়।
মনে রাখবেন, সময়মতো শনাক্ত হলে ফুসফুসের ক্যান্সারও প্রতিরোধযোগ্য।
চিকিৎসা ও পরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিকটস্থ সরকারি বা বিশেষায়িত হাসপাতালে।
ইমরান