
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকায় আবারও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে চিকুনগুনিয়া জ্বর। চলতি জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে শনাক্তের হার ৮২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। এমন প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ হিসেবে জ্বর, গাঁটব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা ও গায়ে র্যাশ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে সময়ক্ষেপণ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, রোগের বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজন মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ, আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, এবং সর্বস্তরের জনসচেতনতা বৃদ্ধি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপের উপরও জোর দেন তারা।
সরকারি পর্যায়ে চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার সুবিধা দীর্ঘদিন ধরে অনুপলব্ধ থাকায় সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে। এতে সময়ক্ষেপণ ছাড়াও চিকিৎসায় ভুল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে নজরদারি জোরদার, বিনামূল্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু, এবং জনগণকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। অন্যথায়, ২০১৭ সালের মতো পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টি হয়ে ঢাকার স্বাস্থ্যখাত ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধ করা সম্ভব, নচেৎ জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে ভয়াবহভাবে।
ফারুক