
ছবি: সংগৃহীত
নিয়মিত দুধ ও দই খাওয়ার অভ্যাস কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে—বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণার পাশাপাশি দেশীয় বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, এই দুটি দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্যের পুষ্টিগুণ অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহরাব হোসেন বলেন, “দুধ ও দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ও প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে দেয়, যা ক্যানসারের কোষ গঠনের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে কোলন বা বৃহদান্ত্রে টিউমার সেল তৈরি প্রতিরোধে সাহায্য করে।”
একই কথা বলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন সোসাইটির সদস্য ও পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা। তিনি বলেন, “প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ ও ১ বাটি টকদই খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদান প্রবেশ করে যা দেহের কোষগুলোকে ক্যানসার প্রতিরোধী করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে রিবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম।”
কী বলছে গবেষণা?
আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে দুধ ও দই খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি ২০-২৫% পর্যন্ত কম দেখা গেছে। বিশেষ করে যাদের খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোবায়োটিক রয়েছে, তাদের অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ভালো থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া যেমন কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি স্বাস্থ্যকর দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস রোগপ্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত দুধ বা দই খাওয়া উচিত নয়—বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে।
সংক্ষিপ্ত পরামর্শ:
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণ দুধ ও দই রাখুন। এতে শুধু হাড়ই নয়, অন্ত্রও থাকবে সুস্থ—আর ক্যানসারের মতো কঠিন রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
আসিফ