
ছবি: সংগৃহীত
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদ। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, আর প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত এক মাসেই এ মহাসড়কে অন্তত ১৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে পরিবহন চালকরা দায়ী করছেন সড়কের নির্মাণ ত্রুটি, অতিরিক্ত বিটুমিন ব্যবহারে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল সড়ক এবং অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচলকে। তারা বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে ব্রেক কাজ করে না, এমনকি গতি কম থাকলেও গাড়ির চাকা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এছাড়া, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও সড়কে অবৈধ ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমনের উপস্থিতি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কের রাজবাড়ী শহরের বড়পুল থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত ৩১ কিমি পাংশা হাইওয়ে থানার আওতায় এবং কুষ্টিয়ার খোকসার বিলজানি থেকে চৌড়হাস পর্যন্ত ২৪ কিমি অংশ চৌড়হাস হাইওয়ে থানার আওতায় রয়েছে।
পাংশা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, “প্রতিদিনই থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, “সড়কের সমস্যাগুলো নিরসনে সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রতিদিনই এসব যান আটক করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও কিছু যানবাহন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে। এ বিষয়ে আমরা আরও কঠোর হচ্ছি।”
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের আশ্বাসে ভরসা থাকলেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এ মহাসড়ক যেন ‘মরণফাঁদ’ নামেই থেকে যাবে।
শিহাব