
ছবি: প্রতীকী
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এখন শুধু একজন বা দুজনের সমস্যা নয়—এই ‘নীরব ঘাতক’ গোটা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কিডনি সমস্যার অন্যতম কারণ। তবে শুধুমাত্র ওষুধ নয়, খাবারদাবারেও লুকিয়ে আছে এই সমস্যা সামলানোর বড় সমাধান। এমনটাই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভোজরাজ।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হৃদরোগ নিয়ে কাজ করা এই চিকিৎসক সম্প্রতি এমন চারটি খাবারের নাম বলেছেন, যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব উচ্চ রক্তচাপ।
কী এই উচ্চ রক্তচাপ?
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন তখনই হয়, যখন রক্তনালির মধ্যে রক্তের চাপ দীর্ঘ সময় ধরে ১৪০/৯০ mmHg-এর বেশি থাকে। স্বাভাবিক চাপ হচ্ছে ১২০/৮০ mmHg-এর নিচে। সমস্যা হলো, এটি অনেক সময় কোনো উপসর্গ ছাড়াই শরীরে বাসা বাঁধে, যার কারণে অনেকেই জানতেই পারেন না, তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। অথচ এই চাপে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃদযন্ত্র ও রক্তনালী।
কোন ৪টি খাবার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে?
ডা. ভোজরাজ ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ‘ওষুধ ছাড়াও খাবারের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে নিয়মিততা অত্যন্ত জরুরি।’
১. অ্যাভোকাডো:
এই বিদেশি ফলটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের দারুণ উৎস। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা রক্তনালির ওপর চাপ কমায়। আর ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালির পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে। সালাদ, স্মুদি বা পেস্ট হিসেবে প্রতিদিনের খাবারে এটি যুক্ত করা যেতে পারে।
২. কলা:
সবচেয়ে সহজলভ্য ফল কলাও রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকর। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে আরাম দেয় এবং রক্তচাপ কমায়। সকালের নাশতায়, ওটমিলে বা স্ন্যাক্স হিসেবেও কলা খাওয়া যেতে পারে।
৩. শাক-সবজি:
শরীরের জন্য সবুজ শাক-সবজি নানাবিধ উপকারে আসে। পালং শাক, কেল শাকসহ নানা ধরনের সবুজ পাতাযুক্ত সবজিতে আছে নাইট্রেট, যা রক্তনালির নমনীয়তা বাড়ায় ও রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় রক্তচাপ।
৪. রসুন:
রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান রক্তনালীকে শিথিল করে ও রক্ত চলাচল সহজ করে। এটি নিয়মিত খেলে দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ কমাতে কার্যকর হতে পারে।
ডা. ভোজরাজ আরও জানান, ‘এই খাবারগুলো শুধু রক্তচাপই কমায় না, বরং মানসিক চাপ, প্রদাহ ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাকিব