
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা পর্বতারোহণ আর দুর্বল নিয়মনীতির কারণে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জমে আছে প্রায় ৫০ মেট্রিক টন বর্জ্য। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে ড্রোন প্রযুক্তি।
নেপালের ‘এয়ারলিফট টেকনোলজি’ নামের একটি সংস্থা এমন এক উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে ড্রোন ব্যবহার করে এভারেস্টে সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে আর নিচে নামিয়ে আনা হচ্ছে বর্জ্য।২০২৪ সালে সফল পরীক্ষার পর, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে এক টনেরও বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এয়ারলিফট টেকনোলজির এক মুখপাত্র বলেন—
"মূল লক্ষ্য ছিল এভারেস্ট থেকে ময়লা সরানো, কারণ সেখানে টনকে টন বর্জ্য পড়ে আছে। ড্রোন দিয়ে সরবরাহ করার মূল কারণ এটাই।"
এই ড্রোনগুলো চীনের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি, যা ৩৩ পাউন্ড (প্রায় ১৫ কেজি) পর্যন্ত জরুরি সরঞ্জাম বহনে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মই এবং দড়ি।এক কর্মকর্তার ভাষায়—
"বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ওয়ানে পৌঁছাতে যেখানে একজন পর্বতারোহীর ৭-৯ ঘণ্টা লাগে, সেখানে আমাদের ড্রোন মাত্র ৩ মিনিটে পৌঁছে যায়।"
এই প্রযুক্তি বিশেষভাবে সহায়তা করছে শেরপাদের, যারা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খুম্বু আইসফল অঞ্চল অতিক্রম করে যান, যেখানে বরফ ও ফাটলে ভরা পথ পাড়ি দিতে হয়।
নেপালি পর্বতারোহী নিমা রিনজি শেরপা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন—
"খুম্বু আইসফল অতিক্রম করে সাউথ কলে গিয়ে সব ময়লা নিচে নামানো মানব পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এই ড্রোন প্রযুক্তি একদিকে জীবন বাঁচায়, অন্যদিকে সবাইকে অনেকটা সহজ করে দেয় কাজটা।"
বর্তমানে আরও কিছু ক্লিন-আপ প্রজেক্ট চলমান থাকলেও, এয়ারলিফট টেকনোলজি আশাবাদী— এই ড্রোন প্রযুক্তি হবে হিমালয়ের বর্জ্য সংকট নিরসনে এক নতুন যুগের সূচনা।
সুত্র: ইয়াহু ডট কম
রাজু