
ছবিঃ সংগৃহীত
কিডনির পাথর যতই ছোট হোক না কেন, তার যন্ত্রণার মাত্রা অনেক বড়। যারা এই যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন, তারা ভালো জানেন কেমন ভয়ানক হয় এটা। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই—প্রকৃতি আমাদের জন্য কিছু সহজ উপায় রেখেছে, যা সাহায্য করতে পারে কিডনি পরিষ্কার রাখতে এবং পাথর গলাতে।
গবেষণা কী বলে?
একটি নাম করা গবেষণা থেকে জানা গেছে, কিডনির পাথর প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। পানি শরীর থেকে জটিল পাথর এবং টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। আর খাবারে লবণ, বেশি প্রাণিজ প্রোটিন ও কিছু নির্দিষ্ট খাবার কমিয়ে দিলে পাথরের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তবে ক্যালসিয়াম খাওয়াও জরুরি, কারণ এটা শরীরে পাথর তৈরির উপাদানগুলোকে বাধা দেয়।
১. যবের পানি: এক প্রাচীন রক্ষক
যবের পানি বহু প্রাচীনকাল থেকেই নানা সংস্কৃতিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে, মূত্রস্রাব ভালো করে এবং পাথরের ধারালো প্রান্তগুলো নরম করে দেয় যাতে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। গরমে ঠান্ডা করে খেলে একদম তাজা লাগে।
২. লেবুর রস: প্রাকৃতিক উপহার
লেবুর রসে থাকে বিশেষ ধরনের সাইট্রেট, যা পাথর তৈরি হওয়া কমায় এবং পুরানো পাথর ভাঙতেও সাহায্য করে। গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং কিডনিও ভালো থাকে।
৩. ক্যালসিয়াম-সম্পন্ন খাবার: বন্ধু আপনার কিডনির
অনেকেই মনে করেন ক্যালসিয়াম বেশি খেলে পাথর হয়, কিন্তু এটা একদম ভুল। ক্যালসিয়াম অন্ত্রে অক্সালেট নামক উপাদানের সঙ্গে মিশে পাথর গঠন আটকায়। তাই তিল, বাদাম, টফু, শাকসবজি ইত্যাদি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম নেওয়া খুব ভালো।
৪. ডাবের পানি: শরীরের প্রাকৃতিক পানীয়
ডাবের পানি কেবল পানীয় নয়, এতে থাকে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীর ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। দিনে কয়েকবার ডাবের পানি পান করলে শরীর শীতল থাকে আর পাথর জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও কমে।
৫. ডালিম: রঙিন ও উপকারী
ডালিম দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তেমনই সুস্বাদু। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যাসিড কিডনির পাথর কমাতে সাহায্য করে। রোজ একটি ডালিম বা তার রস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
আরও কিছু সহজ টিপস
- লবণ, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও মিষ্টি কম খান।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
- তাজা ফল, শাকসবজি ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
যদি নিয়মিত এই খাবারগুলো খান এবং পানি খাওয়ার অভ্যাস রাখেন, কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। তবে যদি বেশি সমস্যা হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
আপনার সুস্থতা আমাদের প্রার্থনা।
মারিয়া