
দেখতে আলাদা, স্বাদেও আলাদা।তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় দুটোই সুপারস্টার! কথা হচ্ছে কাঠবাদাম ও আখরোট নিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই: প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে কোন বাদামটি শরীরের জন্য বেশি উপকারি?
বাদাম খাওয়া মানেই শুধু হালকা ক্ষুধা মেটানো নয়,বরং এটি হতে পারে আপনার দেহের শক্তির প্রধান উৎস। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই বাদাম শরীরের ভিতরকার কোষগুলোকে রক্ষা করে বার্ধক্যের প্রভাব কমায়।
আবার, আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শুধু মস্তিষ্কের গঠনে নয়, তার কাজের দক্ষতাও বাড়ায়। সেই সঙ্গে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের যত্নেও কার্যকর। গবেষণা বলছে, আখরোট নিয়মিত খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ওজন কমাতে চান? দুটোই রাখতে পারেন ডায়েটে
কাঠবাদাম আর আখরোট,দুটোর মধ্যেই আছে প্রোটিন ও ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও ক্ষুধা কমায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রেগুলার ডায়েটে রাখতেই পারেন এই বাদামগুলো।
তবে মনে রাখবেন, উপকার পেতে হলে খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। সাধারণভাবে দিনে ৫-৬টি কাঠবাদাম এবং ২-৩টি আখরোটই যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে উপকারের বদলে হতে পারে উল্টো ক্ষতি।
বেশি খেলেই বিপদ!
অতিরিক্ত বাদাম খেলে হজমে সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, এমনকি ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে। কাঠবাদামের অতিরিক্ত ফাইবার বা ভিটামিন ‘ই’ গ্রহণ করলে হতে পারে মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা ঝিমঝিম ভাব। আবার, কাঠবাদাম ও আখরোট,,দুটোতেই আছে অক্সালেট, যা কিডনির পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তাই বাদাম খেতে ভুলবেন না, তবে বুঝে-শুনে, নির্ধারিত পরিমাণেই।
আফরোজা