
ছবি: সংগৃহীত
তাঁর নাম জনসন জর্জ। অনেকেই তাঁকে চিনবেন না। কিন্তু, একই ছবিতে ৪৫টি চরিত্রে অভিনয়ের বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তাঁরই হাতে। গিনেস বুকও তা স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে এবং তাঁকে দিয়েছে প্রাপ্য সম্মান।
একক মঞ্চ অভিনয়ের প্রথা এ দেশে বহু পুরনো পান্ডবানি শৈলী তার নিদর্শন। আধুনিক সময়েও বহু অভিনেতাকে মঞ্চে একাই বিবিধ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। ছায়াছবির জগতেও এর নজির রয়েছে। ‘নয়া দিন নয়ি রাত’ ছবিতে সঞ্জীব কুমারের ৯টি চরিত্রে অভিনয়, ‘নবরাত্রি’ ছবিতে শিবাজি গণেশনের ৯টি চরিত্রে অভিনয়, ‘দশাবতারম’ ছবিতে কমল হাসানের ১০টি চরিত্রে অভিনয় এবং ‘হোয়াটস ইয়োর রাশি’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ১২টি চরিত্রে অভিনয় দর্শকদের বিস্মিত করেছে। তবে সংখ্যাগত বিচারে জনসন জর্জ সবার উপরে।
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর গিনেস বুক জনসনের এই বিশ্বরেকর্ড স্বীকৃতি দেয়। তার আগে, পি আর উন্নিকৃষ্ণণ পরিচালিত ‘আরানু নজন’ ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৮ সালের মার্চে। বক্স অফিসে ছবিটি সেভাবে সফল না হলেও, গিনেস স্বীকৃতির পর নতুন করে আলোচনায় আসে এটি।
ছবিতে জনসনকে দেখা গিয়েছে যিশু খ্রিস্ট, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধির মতো বিশ্বপ্রসিদ্ধ প্রবাদপুরুষদের চরিত্রে। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল ‘গ্লোব ম্যান’ যিনি এক টাইম মেশিনের সাহায্যে বিশ্বের নানা প্রান্তে, নানা সময়ে ঘুরে বেড়ান এবং বিভিন্ন কিংবদন্তি চরিত্রের রূপ নেন। পরিচালক উন্নিকৃষ্ণণ এই ছবির মাধ্যমে মানবজীবনের লক্ষ্য, অস্তিত্বের মূল প্রশ্ন ও চেতনার বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
৪৫টি চরিত্রে একাই অভিনয় করা জনসনের প্রয়াস নিঃসন্দেহে অভিনয়ের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। ছবিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। দর্শকদের মতামত যেমনই হোক, ‘আরানু নজন’ নিঃসন্দেহে মালয়ালম সিনেমার এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। জনসন জর্জের এই বিশ্বরেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি।
শহীদ