টম হিডলস্টনের ‘The Life of Chuck’এক ব্যতিক্রমী সায়েন্স-ফিকশন ড্রামা

বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেতা টম হিডলস্টন এবং মার্কিন পরিচালক মাইক ফ্লানাগান একসঙ্গে নিয়ে এসেছেন স্টিফেন কিং-এর লেখা গল্প অবলম্বনে নির্মিত নতুন সায়েন্স-ফিকশন ড্রামা ‘The Life of Chuck’।

চলচ্চিত্রটির শুটিং চলাকালীন, হিডলস্টন ও ফ্লানাগান জীবন, মৃত্যু ও অস্তিত্ব নিয়ে এমন একটি আলাপ করেন, যা পরিচালক ফ্লানাগানের মতে, তাঁর ক্যারিয়ারে কোনো অভিনেতার সঙ্গে হওয়া সবচেয়ে গভীর আলাপগুলোর একটি।

ফ্লানাগান বলেন,“এই আলাপটা আমার কাছে অভূতপূর্ব লেগেছে। খুবই গভীর একটা উপলব্ধি হয়েছিল সেসময়।”

জীবনকে বোঝার গল্প 'The Life of Chuck'

স্টিফেন কিং-এর ২০২০ সালের উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত এই চলচ্চিত্রটি ঘুরে দাঁড়ানোর, ভালোবাসা আঁকড়ে ধরার এবং জীবনের চরম বাস্তবতাকে সাহসের সঙ্গে মেনে নেওয়ার গল্প।

হিডলস্টন বলেন,“গল্পটির প্রজ্ঞা আমাকে নাড়া দিয়েছে। এই ভাবনাটা—যে জীবনের যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের ধরে রাখো, কারণ তুমি জানো না কখন সব শেষ হয়ে যাবে—আমাকে খুব টেনেছে।”

সিনেমার কাহিনি ও চরিত্র

‘The Life of Chuck’ সিনেমায় চরিত্রগুলোর জীবন বিপরীতক্রমে উপস্থাপন করা হয়েছে—শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় চরিত্র চার্লস "Chuck" Krantz-এর জীবনের গল্পে উঠে এসেছে কিভাবে সে পৃথিবীকে প্রভাবিত করেছে এবং পৃথিবী তার ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছে।

এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন:

টম হিডলস্টন – চাক ক্রান্টজ

মার্ক হ্যামিল – দাদা অ্যালবি ক্রান্টজ

চিউইটেল ইজিওফর – প্রাক্তন স্বামী মার্টি অ্যান্ডারসন

ক্যারেন গিলান – প্রাক্তন স্ত্রী ফেলিসিয়া গর্ডন

বর্তমান বাস্তবতার প্রতিফলন

অলৌকিক থিম থাকলেও, অভিনেতা মার্ক হ্যামিল মনে করেন, “The Life of Chuck” শুধু কল্পনা নয়, বরং বর্তমান বিশ্বের বিভাজন ও অস্তিত্বের সংকটকেও তুলে ধরে।

পরিচালক ফ্লানাগান জানান, সিনেমার প্রথম দৃশ্য ছিল একটি নাচের দৃশ্য, যেখানে “আনন্দের বিস্ফোরণ” ছিল গল্পের মূল আবেগ। তিনি বলেন,“এই আনন্দময় মুহূর্তটিই ছিল গল্পের হৃদয়, যা পুরো চলচ্চিত্রকে একত্র করে রেখেছে।”

মুক্তির তারিখ

Intrepid Pictures,Film Nation Entertainment ও WME Independent প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটি শুক্রবার (৬ জুন, ২০২৫) বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।