ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এফ এম শাহীনের নতুন চলচ্চিত্র ‘যশোর রোড’

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এফ এম শাহীনের নতুন চলচ্চিত্র ‘যশোর রোড’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক সড়ক যশোর রোড

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক সড়ক যশোর রোড। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য এই সড়কটিই হয়ে উঠেছিল বেঁচে থাকার স্বপ্ন পূরণের পথ। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই সড়ক দিয়ে তারা ভারতের পথে পাড়ি দেন। তাদের অনেকেই পথ চলার ক্লান্তি সহ্য করতে না পেরে মারা যান। এমন বিষয় নিয়ে এফ এম শাহীন নির্মাণ করছেন ‘যশোর রোড’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত ঐতিহাসিক কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ অবলম্বনে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্র। পরিচালক এফ এম শাহীন জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের সবচাইতে উজ্জ্বল ঘটনা ও ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও ৪ লাখ মা-বোনের নির্যাতনের এক বেদনার ইতিহাস। স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি তা অর্জন করে। একাত্তরে অনেক রক্ত আর বেদনার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

নয় মাসের যুদ্ধে রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার সবুজ জমিন। পাকবাহিনীর রাইফেল, কামান, মেশিনগানের শব্দে কেঁপে ওঠে প্রতিটি জেলা শহর। এই পরিস্থিতিতে পূর্ববঙ্গের মানুষের দেশত্যাগের হিড়িক পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে যশোর রোড দিয়ে লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমায় কলকাতায়। রাস্তায় জন্ম-মৃত্যু আর মৃত্যুভয় ও পদে পদে বাধা অতিক্রম করে আশ্রয় নেয় শরণার্থী ক্যাম্পে। 
স্বাধীনতার এত বছরেও ভারতে আশ্রয় নেওয়া ১ কোটি শরণার্থীদের নিয়ে তেমন কাজ কিংবা চলচ্চিত্র হয়নি। তাই আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এবং একাত্তরে ভারতের সাধারণ জনগণ ও সরকার কিভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সেসব দিনগুলো সমগ্র বাঙালি ও বিশ্ববাসীকে জানাতে এই প্রচেষ্টা। তরুণ নির্মাতা, লেখক ও সংগঠক এফ এম শাহীনের আগে সরকার অনুদানপ্রাপ্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে পঁচাত্তর পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করেন প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। চলচ্চিত্রটি এ বছর ১১ আগস্ট মুক্তি পায়।

দর্শকনন্দিত এই চলচ্চিত্রটি জাতীয় সংসদের আলোচনাও স্থান করে নেয়।সংস্কৃতি প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক সড়ক যশোর রোড। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য এই সড়কটিই হয়ে উঠেছিল বেঁচে থাকার স্বপ্ন পূরণের পথ। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই সড়ক দিয়ে তারা ভারতের পথে পাড়ি দেন। তাদের অনেকেই পথ চলার ক্লান্তি সহ্য করতে না পেরে মারা যান। এমন বিষয় নিয়ে এফ এম শাহীন নির্মাণ করছেন ‘যশোর রোড’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত ঐতিহাসিক কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ অবলম্বনে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্র। পরিচালক এফ এম শাহীন জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের সবচাইতে উজ্জ্বল ঘটনা ও ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও ৪ লাখ মা-বোনের নির্যাতনের এক বেদনার ইতিহাস। স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি তা অর্জন করে। একাত্তরে অনেক রক্ত আর বেদনার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

নয় মাসের যুদ্ধে রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার সবুজ জমিন। পাকবাহিনীর রাইফেল, কামান, মেশিনগানের শব্দে কেঁপে ওঠে প্রতিটি জেলা শহর। এই পরিস্থিতিতে পূর্ববঙ্গের মানুষের দেশত্যাগের হিড়িক পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে যশোর রোড দিয়ে লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমায় কলকাতায়। রাস্তায় জন্ম-মৃত্যু আর মৃত্যুভয় ও পদে পদে বাধা অতিক্রম করে আশ্রয় নেয় শরণার্থী ক্যাম্পে। 
স্বাধীনতার এত বছরেও ভারতে আশ্রয় নেওয়া ১ কোটি শরণার্থীদের নিয়ে তেমন কাজ কিংবা চলচ্চিত্র হয়নি। তাই আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে এবং একাত্তরে ভারতের সাধারণ জনগণ ও সরকার কিভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সেসব দিনগুলো সমগ্র বাঙালি ও বিশ্ববাসীকে জানাতে এই প্রচেষ্টা। তরুণ নির্মাতা, লেখক ও সংগঠক এফ এম শাহীনের আগে সরকার অনুদানপ্রাপ্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে পঁচাত্তর পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করেন প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। চলচ্চিত্রটি এ বছর ১১ আগস্ট মুক্তি পায়। দর্শকনন্দিত এই চলচ্চিত্রটি জাতীয় সংসদের আলোচনাও স্থান করে নেয়।

×