ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

হাবিপ্রবিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:২৭, ২৭ জুলাই ২০২৫

হাবিপ্রবিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (হাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে বসেছেন ২ শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ৫/৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অনশন শুরু করেন এগ্রিকালচার অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এটিএম সিফাতুল্লাহ ও ফিন্যান্স বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুহিত আহমেদ।

পাশাপাশি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে ছাত্রশিবির হাবিপ্রবি শাখার সেক্রেটারি শেখ রিয়াদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের হাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু, গণ অধিকার পরিষদ হাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক মোঃ রিপন মিয়া।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন হাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ প্রকাশ করেনি। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর হলেও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনেরও কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই অনীহার ফলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমনি বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী পর্ষদে কোনো প্রতিনিধিত্বও নিশ্চিত হচ্ছে না।”

অন্যদিকে, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সক্রিয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থাকলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবন গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে পারে, শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করতে পারে এবং অ্যাকাডেমিক ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন দিতে পারে। অথচ হাবিপ্রবিতে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠেনি, যা প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ অনশন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, হাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৫ বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত এখানে কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা, অ্যাকাডেমিক সমস্যার সমাধান, আবাসন সংকট, খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন সমস্যা ও যৌক্তিক দাবিদাওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রতিনিধিত্ব গড়ে ওঠেনি। একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে নীতিগত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রশাসনের সামনে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরতে পারে।

আফরোজা

×