ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্যের মেট্রোরেল ভ্রমণ

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্যের মেট্রোরেল ভ্রমণ

শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ মেট্রোরেলে ঢাবি উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়ে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) টিএসসি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ভ্রমণ শেষে উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশনে যান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা সরকার হচ্ছে উন্নয়নের সরকার। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আজ সারাবিশ্বের কাছে বিস্ময় ও রোল মডেল।’অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন ও ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর দ্রুত ও আরামদায়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক। কর্মজীবী মানুষের যাতায়াত সহজ হওয়ায় শ্রম ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা সর্বাধিক সেবা প্রদান করতে পারছেন। এছাড়া, মেট্রোরেলে যাতায়াতের ফলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমছে এবং এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও কমার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য নানাবিধ যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বহুলাংশে বাড়িয়ে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেট্রোরেলে ভাড়া কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা সচরাচর মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারলে মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা, সরকারের উন্নয়ন এবং উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা পাবে। ফলে তাদের মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে গর্ববোধ করবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় আরো দৃঢ়তর হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

এম হাসান

×