ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া

প্রকাশিত: ০০:৩২, ২ জানুয়ারি ২০২২

ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া

সিনিয়র শিক্ষক (অব.) গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা ছোট প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই- ১) আপতন কোণ কাকে বলে? উত্তর : আলো যে কোণে দর্পণে পড়ে তাকে আপতন কোণ বলে। ২) প্রতিফলন কাকে বলে? উত্তর : কোনো বস্তুতে আলো পড়ে যদি তা বাধা পেয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে প্রতিফলন বলে। ৩) আলোর শোষণ কী? উত্তর : কেনো বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি ফিরে না আসে তাহলে তাকে শোষণ বলে। ৪) দর্পণ কী? উত্তর : দর্পণ হলো একটি মসৃণ তল যেখানে আলোকের নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। ৫) আলো কী? উত্তর : আলো এক প্রকার শক্তি যা আমাদের দর্শনের অনুভূতি জন্মায়। ৬) প্রতিফলক পৃষ্ঠ কী? উত্তর : যে পৃষ্ঠ থেকে বাধা পেয়ে আালোক রশ্মি প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে তাই প্রতিপলক পৃষ্ঠ। ৭) আলোক রশ্মি কী? উত্তর : আলোর সরলীর ঠিক পথই আলোক রশ্মি। ৮) পেরিস্কোপে দর্পণকে টিউবের সাথে কীভাবে স্থাপন করা হয়? উত্তর : পেরিস্কোপে দর্পণকে টিউবের সাথে ৪৫ কোণে স্থাপন করা হয়। ৯) পার্শ্ব পরিবর্তন কী? উত্তর : সমতল দর্পণে গঠিত কোনো বস্তুর সমগ্র প্রতিবিম্বটি বস্তুর সাপেক্ষে পাশের দিকে উল্টে যাওযার ঘটনাই পাশ্ব বা পার্শ্বীয় পরিবর্তন। ১০) কোন বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বুঝা যায় না? উত্তর : প্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বুঝা যায় না। ১১) স্ট্রিপ কাকে বলে? উত্তর : পেরিস্কোপ তৈরি করতে একটি লম্বা সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণের যে দুটি ফালি স্থাপন করা হয় তাদেরকে স্ট্রিপ বলে। ১২) দুটি সমতল দর্পণকে মুখোমুখি রাখলে কী ধরনের প্রতিফলন ঘটে? উত্তর : দুটি সমতল দর্পণকে মুখোমুখি রাখলে পুনঃপুন প্রতিফলন ঘটে। ১৩) রংধনু সৃষ্টির কারণ কী? উত্তর : রংধনু সৃষ্টির কারণ আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন। ১৪) উজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে? উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের আলো আছে তাদেরকে উজ্জ্বল বস্তু বলে। ১৫) অনুজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে? উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের আলো নেই, অন্য বস্তুর আলো প্রতিফলিত করে তাদেরকে অনুজ্জ্বল বস্তু রচনামূলক প্রশ্ন প্রশ্ন :১। নিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্য কী? উত্তর : নিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্য নিচে দেয়া হলো : প্রশ্ন :২। নিচের কোনটি থেকে নিয়মিত ও কোনটি থেকে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে? ক) মার্বেলের মেঝে খ) ছড়ানো আটা গ) জুতার বাক্স ঘ) সমতল দর্পণ ঙ) পালিশ করা দরজা চ) নতুন স্টিলের থালা। উত্তর : নিচে নিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলকগুলোকে চিহ্নিত করা হলো : র) মার্বেলের মেঝেতে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে। রর) ছড়ানো আটায় আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে। ররর) জুতার বাক্সে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে। রা) সমতল দর্পণে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। া) পালিশ করা দরজায় আলোয় নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। ার) নতুন স্টিলের থালায় আলোয় নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। প্রশ্ন :৩। বই এর পৃষ্ঠায় ছাপা লেখাগুলো আমরা কী করে দেখতে পাই? উত্তর : জানা আছে, কোনো বস্তু থেকে আলো এসে যখন স্বাভাবিক চোখে পড়ে, তখনুই বস্তুটি দেখা যায়। বইয়ের পৃষ্ঠায় কালো লেখাগুলো কোনো উৎস থেকে আসা আলো বেশি শোষণ করে। কিন্তু সাদা পৃষ্ঠা থেকে প্রতিফলিত আলো আমাদের চোখ গ্রহণ করে। ফলে কাগজে ছাপা কালো অক্ষরগুলো আমরা দেখতে পাই। প্রশ্ন : ৪।পেরিস্কোপের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ। উত্তর : পেরিস্কোপের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ : র) আলোর প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে পেরিস্কোপ তৈরি হয়। রর) পেরিস্কোপে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়। ররর) একটি সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণ দুটিকে ৪৫০ কোণে স্থাপন করা হয়। রা) সমতল দর্পণ দুটি পরস্পর সমান্তরালে থাকে। া) আলোর প্রতিফলন দুইবার ঘটে। প্রশ্ন : ৫। দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : উদ্দীপকের দর্পণটি একটি সমতল দর্পণ। নিচে এ দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো- (র) দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ থেকে বিম্বের দূরত্ব তত। (রর) বস্তু ও বিম্ব যে সরল রেখায় অবস্থিত, সেটি দর্পণকে লম্বভাবে ছেদ করে। (ররর) বিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে। (রা) বিম্বের আকার বস্তুর আকারের সমান হয়। প্রশ্ন : ৬। নিয়মিত ও ব্যাপ্ত প্রতিফলনের মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখ। উত্তর : নিয়মিত ও ব্যাপ্ত প্রতিফলনের মধ্যে ২টি পার্থক্য নিম্নরূপ : প্রশ্ন :৭।আয়নাতে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : আয়নাতে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য দেয়া হলো- র) আয়না থেকে বস্তুর দূরত্ব ও বিম্বের দূরত্ব সমান হয়। রর) বস্তু ও বিম্ব যে সরলরেখায় অবস্থিত, সেটি আয়নাকে লম্বভাবে ছেদ করে। ররর) বিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে। রা) বিম্বের আকার বস্তুর আকারের সমান হয়। প্রশ্ন :৮। আলোর প্রতিফলন বলতে কী বুঝ? উত্তর : আলো কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্যদিয়ে যেতে অন্য কোনো মাধ্যমে বাধা প্রাপ্ত হলে সেই আলোর কিছু অংশ মাধ্যম দুটির বিভেদ তলে অর্থাৎ প্রতিফলক পৃষ্ঠে বাধা পেয়ে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এভাবে আলোকরশ্মি কোনো তলে বাধা থেকে ফিরে আসাকেই আলোর প্রতিফলন বলে। প্রশ্ন :৯। পেরিস্কোপে কমপক্ষে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কেন? উত্তর : পেরিস্কোপে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কারণ দূরের বস্তু থেকে আগত আলোকরশ্মি প্রথম সমতল দর্পণে অভিলম্বের সাথে ৪৫০ কোণে আপতিত হয়। তা আবার ৪৫ কোণে প্রতিফলিত হয়ে নলের অক্ষ বরাবর দ্বিতীয় সমতল দর্পণে আপতিত হয়। আলোকরশ্মি দ্বিতীয় সমতল দর্পণে পুনরায় প্রতিফলিত হয়ে অনুভূমিকভাবে চোখে পড়ে এর ফলে বস্তুটির সোজা বিম্ব দেখা যায়। ২য় সমতল দর্পণ না থাকলে এ ঘটনা ঘটতে পারত না ফলে বস্তুকে দেখাও সম্ভব হতো না। এ জন্যই পেরিস্কোপে কমপক্ষে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন  

×