
ছবি: সংগৃহীত
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে আবার শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন-সিক ও বন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থ—কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। তবে এই পর্বত শুধু ধর্মীয় নয়, বৈজ্ঞানিক রহস্যে মোড়ানো এক আশ্চর্য স্থান, যা আজও অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
১. কেন আজও কেউ উঠতে পারেনি কৈলাস পর্বতের চূড়ায়?
৬,৬৩৮ মিটার উচ্চতার এই পর্বতটি এভারেস্টের চেয়ে কম হলেও, আজও কেউ এর চূড়ায় উঠতে পারেনি। ১৯২৬ সালে ব্রিটিশ এবং ২০০১ সালে জাপানি অভিযান দল পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, আবার কেউ অদ্ভুত কারণে পিছু হটে আসে। চীন সরকার পরবর্তীতে ধর্মীয় মর্যাদা রক্ষায় উঠা নিষিদ্ধ করে দেয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এক অদৃশ্য শক্তি কাউকে উপরে উঠতে দেয় না।
২. দুটি লেক, দুটি বিপরীত চরিত্র
কৈলাসের পাদদেশে রয়েছে দুটি হ্রদ—মানস সরোবর (মিষ্টি পানির) এবং রাক্ষস তাল (লবণাক্ত ও ভয়ংকর রকম নিষ্প্রাণ)। পুরাণ অনুসারে, রাক্ষস রাজা রাবণ এই জায়গায় তপস্যা করেছিলেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি গ্লেশিয়াল পরিবর্তনের কারণে হয়েছে, কিন্তু তাদের রাসায়নিক বৈচিত্র্য আজও এক রহস্য।
৩. কৈলাসে সময় বিকৃত হয়?
অনেক তীর্থযাত্রীর দাবি, কৈলাসের আশেপাশে সময় যেন অন্যভাবে চলে। এক ঘণ্টায় নখ-চুল বেড়ে যাওয়া, বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা নাকি বহুজনের। রাশিয়ান চিকিৎসক ড. মুলদাশেভ ১৯৯৯ সালে অভিযানে গিয়ে রহস্যময় শব্দ ও পাথর পড়ার শব্দ রেকর্ড করেন, যা পাহাড়ের ভেতর থেকে আসছিল বলে মনে হয়।
৪. কেন এমন নিখুঁত জ্যামিতি?
কৈলাসের চারটি সমান, পিরামিডের মতো মুখ, যেগুলি চারটি দিক বরাবর সজ্জিত। প্রকৃতিতে এমন নিখুঁত জ্যামিতি খুব বিরল। কেউ কেউ বলছেন এটি গিজার পিরামিড ও স্টোনহেঞ্জের মতোই কোনো প্রাচীন শক্তি গ্রিডের অংশ হতে পারে।
৫. কৈলাসের দেয়ালে আয়নার মতো প্রতিফলন!
দক্ষিণ দিকে কৈলাসের এক বিশাল দেয়াল আয়নার মতো চকচকে। সূর্যের আলো পড়লে এটি ভয়ংকর সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়। এই ধরনের প্রাকৃতিক গঠন হিমালয়ের মতো পরিবেশে খুবই অস্বাভাবিক। কেউ কেউ বলছেন এটি গ্লেসিয়াল পলিশিং হলেও, এর প্রকৃত কারণ আজও অনাবিষ্কৃত।
মুমু ২