ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

জন্মের আগেই দুই ভাইবোনকে খেয়ে ফেলল শিশু!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৯ জুন ২০২৫

জন্মের আগেই দুই ভাইবোনকে খেয়ে ফেলল শিশু!

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের এক মা সম্প্রতি টিকটকে এমন একটি বিরল ঘটনা শেয়ার করেছেন, যা শুনে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন, কেউ কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, গর্ভে তিনটি শিশু ধারণ করলেও শেষ পর্যন্ত জন্ম দেন মাত্র একটিকে। বাকিদের ভাগ্যে জীবনের আলো দেখা হয়নি—তারা ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায় মায়ের গর্ভেই। তার ভাষ্যমতে, জীবিত ভ্রূণটি তার ‘ভাইবোনদের গিলে খেয়েছে’। এই ভয়াবহ ও রহস্যময় ঘটনাটি মুহূর্তেই টিকটকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

টিকটক ব্যবহারকারী @vfbabygirl28 তার গর্ভাবস্থার কয়েকটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান শেয়ার করেন। প্রথম স্ক্যানে দেখা যায় যমজ দুটি ভ্রূণ। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “প্রথম স্ক্যানে দেখা গেল আমি যমজ সন্তান ধারণ করছি।”

এরপর আরেকটি স্ক্যানে দেখা যায়, তিনি আসলে ত্রয়ী সন্তানের গর্ভধারণে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী স্ক্যানে শুধুমাত্র একটি ভ্রূণ দৃশ্যমান। তখন তিনি রসিকতার ছলে লেখেন, “এই ছোট মানুষটি তার ভাইবোনদের খেয়ে ফেলেছে!”

ভিডিওর শেষ অংশে দেখা যায়, সদ্যোজাত শিশুটি শান্তভাবে ঘুমাচ্ছে, পরনে সবুজ জাম্পার ও বিউট। সঙ্গে লেখা, “Holyf***ingairball।”

এই ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন এবং ১৬ হাজারেরও বেশি মন্তব্য এসেছে।

অনেক দর্শক মন্তব্যে ধারণা করেন, শিশুটি হয়তো ‘চিমেরা’। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘চিমেরা’ হলো এমন ব্যক্তি যার শরীরে দুই বা ততোধিক ভ্রূণের কোষ রয়েছে। সাধারণত যমজ বা ত্রয়ী গর্ভাবস্থায় এক বা একাধিক ভ্রূণ মৃত্যুবরণ করলে বেঁচে থাকা ভ্রূণটি মৃত ভ্রূণের কোষ নিজের শরীরে শোষণ করে নেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিমেরা শিশুদের ত্বকে ভিন্ন রঙের অংশ থাকতে পারে, এমনকি দুইটি রক্তের গ্রুপও থাকতে পারে। WebMD অনুসারে, এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

ভিডিওতে অনেক ব্যবহারকারী নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। একজন লিখেছেন, “আমি নিজেও চিমেরা। আমার পেটের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি ভিন্ন রঙের।” আরেকজন লেখেন, “আমি আমার যমজ ভাইকে শোষণ করেছি। আমার শরীরের মাঝ বরাবর আলাদা ত্বকের রেখা রয়েছে।”

এদিকে ওই মা আরও জানান, তার ১৩ বছরের একটি ছেলে রয়েছে এবং তিনিও প্রথমে এই তথ্য শুনে খুব বিভ্রান্ত ছিলেন। পরবর্তীতে মেনে নিতে শিখেছেন।

যদিও অনেকেই এই ঘটনার উপর কৌতূহল ও হাস্যরস প্রকাশ করেছেন, কিন্তু অনেকেই মা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। একজন মন্তব্য করেন, “কেউ হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু ভাবুন তো, একজন মা যেভাবে প্রথমে জানতে পারেন যমজ, এরপর ত্রয়ী, এরপর আবার একজন বেঁচে আছে—এই মানসিক ধাক্কা কতটা কঠিন!”

মুমু ২

×