
ছবি: জনকণ্ঠ
প্রায় দুই যুগের প্রচেষ্টায় 'ক' বর্ণ দিয়ে ২৭ হাজার শব্দের ৩টি বই লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের প্রতিভাবান লেখক ইকবাল সর্দার মো. নাজমুল কবির। তিনি ছদ্মনাম ইসমোনাক নামেই বেশ জনপ্রিয়।
লেখক ইসমোনাকের ‘ক’ শব্দের সমাহারে লেখা তিনটি বই জুড়ে এমন একটি শব্দও মিলবে না যা 'ক' দিয়ে শুরু হয়নি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটিই সম্ভব করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থ তিনটি হলো—কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, কেষ্ট কবির কনফারেন্স, এবং কেষ্ট কবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ইসমোনাক বলেন, সাহিত্যের এই রীতিকে বলা হয় টটোগ্রাম সাহিত্য। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত থাকলেও বাংলা ভাষায় এটি একেবারেই বিরল। বাংলা সাহিত্যে ব্যতিক্রমী এই রীতি আনতে তাঁর সময় লেগেছে ২৪ বছর। শুধু শব্দ খুঁজতেই কেটেছে প্রায় ১ যুগ।
তিনি আরও বলেন, “আমি ভেবে দেখেছি, যতই চেষ্টা করি, কখনোই নজরুল বা রবীন্দ্রনাথ হতে পারব না। তারা সাহিত্যে অনন্য অবস্থান সৃষ্টি করে গেছেন। পরবর্তীতে নতুন কিছু সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহিত্য ঘেঁটে টটোগ্রাম সাহিত্যের ধারণা নিই এবং সিদ্ধান্ত নিই ‘ক’ দিয়ে আমি বাংলা সাহিত্যে টটোগ্রামের যাত্রা শুরু করব। আমার ২৪ বছরের পরিশ্রম এই তিনটি বই।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ৪ বছর আগে বইগুলো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সাহিত্যের জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন লেখক ইসমোনাক। তাঁর এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের জন্য ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন সম্মাননা। জীবনের দীর্ঘ সময় লেখালেখির পেছনে ব্যয় করে হারিয়েছেন অনেক কিছু, তবে আজ তিনি একজন সফল লেখক হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত।
উল্লেখ্য, লেখক ইসমোনাক ১৯৬৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সরদার বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মুমু