
ছবি : সংগৃহীত
এটিএম-এ টাকা তুলতে আমরা অভ্যস্ত, কিন্তু এবার চীনে চালু হয়েছে এমন এক এটিএম যেটি টাকা দেয় স্বর্ণ গলিয়ে। বিশ্বের প্রথম স্বর্ণ গলানোর এটিএমটি চালু হয়েছে সাংহাইয়ের পুতুল জেলার একটি ব্যস্ত শপিং মলে। এই অভিনব যন্ত্রটিতে পুরনো গয়না জমা দিলেই মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে হাতে চলে আসে ঝকঝকে নগদ টাকা। এটিই আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় স্বর্ণ গলানোর বিপ্লবের সূচনা।
এই স্বর্ণের এটিএমটি কাজ করে অত্যন্ত আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায়। ব্যবহারকারী গয়না প্রবেশ করালে মেশিন প্রথমে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করে, এরপর ওজন নির্ণয় করে। তারপর সেটিকে প্রায় ১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে গলিয়ে ফেলে। পুরো প্রক্রিয়াটি একটি বড় স্ক্রিনে সরাসরি দেখা যায়। এরপর রিয়েল টাইম স্বর্ণের বাজারমূল্য অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে সামান্য সার্ভিস চার্জ কেটে গ্রাহকের হাতে তুলে দেয় নগদ অর্থ।
কিংফুড কোম্পানির অপারেশন ম্যানেজার জানান, প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ জন মানুষ এই এটিএম ব্যবহারের জন্য আসছেন। স্বর্ণের দাম বাড়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন পুরনো গয়না নগদ টাকায় রূপান্তর করতে। একজন স্থানীয় নারী জানান, তিনি ভিড় দেখে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। নিজের পুরনো ও অপ্রিয় গয়না গলিয়ে সহজেই টাকা পাওয়ায় তিনি খুশি। আরেকজন বলেন, বহু বছর আগে অল্প দামে কেনা গয়নার এখনকার মূল্য অনেক বেশি। তাই পড়ে থাকা গয়নাকে কাজে লাগানোই তার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়েছে।
এই এটিএম-এর আরেকটি বিশেষ দিক হলো এর রোবটিক বাহু ও স্মার্ট সেন্সরের সাহায্যে পরিচালিত সেলফ-সার্ভিস সেকশন। এখানে গ্রাহক চাইলে স্বর্ণের বিন বার, অলংকার কিংবা বিশেষ ‘গোল্ড ব্লাইন্ড বক্স’ কিনতেও পারেন। চীনে স্বর্ণ কেবল অলংকার নয়, সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। জন্মদিন, বিয়ে কিংবা উৎসবে স্বর্ণ উপহার দেওয়ার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাথে মিশে পেয়েছে এক নতুন রূপ।
আঁখি