ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজউক ওয়াসার খাল লেক পরিষ্কার করছে উত্তর সিটি

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:০১, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাজউক ওয়াসার খাল লেক পরিষ্কার করছে উত্তর সিটি

.

ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি এবং দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে রাজধানীর হাতিরঝিল এখন মশা উৎপাদনের সবচেয়ে বড় জায়গা। হাতিরঝিল ছাড়াও উত্তরা খাল, গুলশান বারিধারা লেকেরও একই দশা। চারটি জলাধারের মালিক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) হলেও দীর্ঘদিন ধরে এগুলো পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংস্থাটি। রাজউকের উদাসীনতা এবং স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তির কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এখন এসব লেক খালে পরিচ্ছন্নতা মশা নিধনে অভিযান চালাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাতিরঝিলের দুই পাড়েই নানা ধরনের ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি পানি থেকেও আসছে উৎকট গন্ধ। সর্বশেষ ২০২২ সালে ডিএনসিসি এখানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালালেও এরপর প্রায় দুই বছরে হাতিরঝিল পরিষ্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা থাকায় আশপাশের এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে। এই খালটিতে রাজউকের পাশাপাশি ওয়াসারও মালিকানা রয়েছে। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মশা নিধনের জন্য মাঝেমধ্যে ওষুধ ছিটানো হলেও খালের কচুরিপানা থেকে আবার মশা জন্মায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের বিকল্প না থাকলেও রাজউক বা ওয়াসা কেউই গত তিন বছরে এই খালটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়নি।

গুলশান বারিধারা লেকের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, পাশেই গুলশান জামে মসজিদ। মসজিদের মুসল্লিরা জানান, লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধ মসজিদে আসে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। গুলশান সোসাইটি বারিধারা সোসাইটির নেতারা পরিস্থিতিতে ডিএনসিসি মেয়রের কাছে আবেদন জানালে গত মাসে লেক দুটি পরিষ্কার করা হয়।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, হাতিরঝিল, উত্তরা খাল, গুলশান লেক বারিধারা লেক রাজউকের মালিকানাধীন হলেও ডিএনসিসিকেই এগুলো পরিষ্কার করতে হয়। বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল জলাধার পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। কিন্তু এলাকায় রাজউকের মালিকানাধীন জলাধারগুলো তারা পরিষ্কার না করায় মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে ডিএনসিসি থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে।ফিদা হাসান জানান, ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পাশাপাশি গুলশান বারিধারা সোসাইটি, স্থানীয় ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী এবং কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় এসব পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে।

রাজউক বলছে, হাতিরঝিলসহ তাদের মালিকানাধীন জলাধারগুলোতে দুর্গন্ধ দূর করতে মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটানো হলেও কখনো বড় আকারে পরিচ্ছন্নতার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ছাড়া সামনের ডেঙ্গু মৌসুমের আগেও এসব জলাধার পরিষ্কার করতে রাজউকের কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানা গেছে।

বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (এস্টেট ভূমি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, হাতিরঝিলের পানি পরিষ্কার রাখতে নিয়মিতই ওষুধ ছিটানো হয়। ছাড়া রাজউকের মালিকানাধীন অন্যান্য জলাধারে দুর্গন্ধ হলে সেখানেও কেমিক্যাল ছিটানো হয়। এর বাইরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনও উদ্যোগ রাজউকের নেই।

×