.
সুয্যি মামা প্রতিনিয়ত দেখাচ্ছে রাগান্বিত রূপ। আর মনুষ্য জাতি পুড়ছে তার রূপের জৌলুসে। চারদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ। খুব প্রয়োজনীয় না হলে কেউ বাইরে যাচ্ছে না ঘর থেকে। কিন্তু জীবিকা অর্জনের জন্য যাদের ঘর থেকে বের হতেই হবে, তাদের নিতে হবে দরকারি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। যার মধ্যে অন্যতম হলো সানগ্লাস। আধুনিক লাইফস্টাইলের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সানগ্লাস। সারাবছরই সানগ্লাসের ফ্যাশনে নানা ট্রেন্ড আসে ঘুরে ফিরে। এখন সব বয়সী মানুষকেই সানগ্লাস পরতে দেখা যায়।
তবে তরুণ-তরুণীদের কাছে এটি ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। বাইরে বের হলেই রোদ আর ধুলাবালি। আর দীর্ঘসময় রোদে থাকলে চোখে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়া, চোখের পাতা ঝরা এবং চোখের চারপাশের ত্বকে জ্বালাপোড়া করাসহ হতে পারে নানা সমস্যা। সানগ্লাসের মাধ্যমে এসব সমস্যা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। আবার ড্রাইভিং করা, সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে গেলেও নানাভাবে চোখে ধুলাবালি যেতে পারে। দু’এক দশক আগেও রোদ বা ধুলাবালির জন্য পরা হতো সানগ্লাস, কিন্তু এখন এটি আধুনিক লাইফস্টাইলের অন্যতম অংশ। ফ্যাশন সচেতন মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে ভিন্ন সব স্টাইলের চশমা। স্টাইলে রয়েছে স্বতন্ত্র ভাব। যেমন খেলাধুলার সানগ্লাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় হালকা ওজনের বড় গ্লাস। স্পোর্টিংয়ে সুবিধার জন্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বড় ফ্রেম। সানগ্লাস ওজনে হাল্কা হলে পরতে বেশ আরামদায়ক হয়। আবার ভারী ফ্রেমের সানগ্লাসও বাজারে অনেক। ভারী ফ্রেমের গ্লাস কিনতে আমেরিকান আর্মি, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর জনপ্রিয়। নি¤œমানের সানগ্লাস সূর্যরশ্মি প্রতিরোধে অক্ষম। তাই ব্র্যান্ডের ভালো সানগ্লাস কেনাই ভালো। তবে জেনেশুনে কিনতে হবে। ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তির কাছে সানগ্লাস রুচির পরিচায়কও বটে। রোদচশমা সাধারণত সাধারণ চশমা থেকে বড় আকৃতির হয়। কেননা, এটি চোখের আশপাশের ত্বক রাখে সুরক্ষিত।
সানগ্লাস কেনার সময়ে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে-ইউভি প্রটেকশন আছে কিনা, চেহারা ও ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই হবে কিনা। ত্বকের রং যদি গাঢ় হয় তাহলে কফি, বাদামি ও কালো রংয়ের সানগ্লাস বেশ মানিয়ে যাবে। যদি রং উজ্জ্বল হয় তবে সাদা, গোলাপি, বেগুনি ও লাল রংয়ের সানগ্লাস বেছে নিন। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে স্টেইনলেস স্টিলের ফ্রেম বেছে নিন। চোখের পাওয়ারে সমস্যা থাকলে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রোদচশমা পড়ুন। সানগ্লাসের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল। তাই নিজের মুখের আকৃতি, রুচি এবং ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় রেখে সানগ্লাস কিনুন। এক্ষেত্রে চেহারা গোলগাল হলে একটু লম্বাটে ধরনের সানগ্লাস বেছে নিন। আবার একটু লম্বাটে ধরনের মুখ হলে বেছে নিন গোলাকার ডিজাইন। রঙের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, সবুজ, ধূসর, নীলসহ পাওয়া যায় বিভিন্ন রং। আবার ব্র্যান্ডভেদে রোদচশমার কার্যকারিতায়ও ভিন্ন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করে পোলারাইজড লেন্সযুক্ত সানগ্লাস।
সাধারণ নামি ব্র্যান্ডের রোদচশমা পোলারাইজড হয়। পাইলট, ওয়েফার বা ওভাল শেপের গ্লাস ছেলেদের জন্য মানানসই। রঙের ক্ষেত্রে ছেলেদের ভালো লাগবে কালো, বাদামি অথবা ধূসর। মেয়েদের জন্য স্টোনের কাজ করা একটু চওড়া ফ্রেমের বেগুনি, গোলাপি, লাল রঙের চশমার বেশ চাহিদা বরাবরই। তবে ফ্যাশনেবল প্রতিটি অনুষঙ্গের ডিজাইন পুরনোগুলোই আসে ঘুরে ফিরে।
দরদাম: বিভিন্ন ব্রান্ডের রোদচশমা পাওয়া যায় বাজারে। মান ও ব্র্যান্ডভেদে দাম হবে ১৫শ’ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে। কিনতে পারেন অনলাইন পেজ থেকেও। এখানে ৩শ’ থেকে ৫শ’র মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের রোদচশমা।