ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিঠু রায়ের টেলিফিল্ম ‘কে আপন কে পর’ আজ

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯

মিঠু রায়ের টেলিফিল্ম ‘কে আপন কে পর’ আজ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ স্যাটেলাইট চ্যানেল, চ্যানেল আইতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় প্রচার হবে এই সময়ের তরুণ নির্মাতা মিঠু রায় পরিচালিত বিশেষ টেলিফিল্ম ‘কে আপন কে পর’। মানস পাল রচিত, মিঠু রায়ের এই টেলিফিল্ম প্রযোজনা করেছে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ফ্যাক্টরি। ‘কে আপন কে পর’ টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল, অপর্ণা ঘোষ, শিল্পী সরকার অপু, সুবাইতা, মিলন, স্বপনসহ আরও অনেকে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন মশিউর রহমান, সম্পাদনায় সাগর। ‘কে আপন কে পর’ টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যাবে মোবারক একটু বেশি বয়সে অল্পবয়সী চরম সুন্দরী একটা মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনে। সংসারে তার মা এবং বিবাহযোগ্য একটা ছোট বোনও আছে। সুন্দরী বউ পাওয়া যেহেতু ভাগ্যের ব্যাপার তাই স্ত্রী রসিয়াকে সে কোথায় রাখবে, কিভাবে সাজাবে, কি করলে সে খুশি হবে এটা নিয়েই তার যেন ভাবনার অন্ত নেই। তার বউ গ্রামে সবার সেরা এটা সবার সঙ্গে গর্ব করে বলে সে। স্বামীর বাড়াবাড়ির সুযোগ নিয়ে রসিয়াও স্বামীর মাথায় চড়ে বসে। আজ গহনার আবদার, কাল দামী শাড়ির আবদার, পরশু অন্যকিছুর আবদারে মোবারককে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। মোবারকের কর্মকা-ে তার মা-বোনের অভিযোগ বা অনুযোগে কর্ণপাত করার সময় এবং অবসর কোনটাই যেন মোবারকের হয় না। মোবারক অনুভব করে তার বউ রূপে সবার সেরা হলেও গুণে কিছুটা ঘাটতি আছে। এতদিন ভাইয়ের কাছে আবদার করে বোন যা আদায় করতে পারেনি বউকে গ্রামের সেরা বানাতে সে বউয়ের কোন আবদার ছাড়াই বাসায় গানের শিক্ষক রেখে দেয়। রসিয়ার গলার সুরে আশেপাশে মশা-মাছি পালালেও মোবারক তাকে গান শিখিয়েই ছাড়বে। মোবারক স্থানীয় এক বেসরকারী অফিসে ক্যাসিয়ারের চাকরি করে। যেভাবেই হোক সেখান থেকে দেড় লাখ টাকা খোয়া গেলে দায়িত্বহীনতার অভিযোগে মোবারককেই খোয়া যাওয়া টাকা পূরণ করতে বলে নাহলে তার চাকরি তো যাবেই শুধু তাই নয় তাকে জেলেও যেতে হবে। বউয়ের আবদার পূরণ করতে করতে মোবারক আর্থিক দিক থেকে একেবারেই ফতুর- তাই দেড় লাখ টাকা বের করা তারপক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই মোবারক প্রথমে তার স্ত্রীর কাছে তার গহনাগুলো চায় যেন সেগুলো বন্ধক রেখে সে আপাতত চাকরিটা বাঁচাতে পারে, কিন্তু স্ত্রী তার শকের গহনা কোনভাবেই খোয়াতে রাজি নয়। সে মোবারককে বলে তার ভিটা বাড়ি বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা এনে অবস্থা সামাল দিতে। মোবারকের মা কোনভাবেই ভিটা বাড়ি বন্ধক রাখতে রাজি নয়। কারণ এটাই তার স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল। মোবারককে লেখাপড়া করাতে গিয়ে সে স্বামীর রেখে যাওয়া বাকি সব ঘুচিয়ে ফেলেছে। আর যাই হোক ভিটে ছাড়া হতে সে রাজি না। মোবারকের মা তার মেয়ের বিয়ের জন্য তৈরি গহনা, তার ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার, সমিতি থেকে লোন করে বিভিন্নভাবে দেড় লাখ টাকা ম্যানেজ করে ছেলের হাতে তুলে দেয়। মোবারকের চাকরিটা বেঁচে যায়।
×