ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত: ০২:২৩, ২৬ জুলাই ২০১৯

রামেক হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বুধবার পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ১০ জন থাকলেও শুক্রবার সকালে তা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। তার নাম আতিক হাসান (২৫)। আতিকের বাড়ি জয়পুরহাট। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে তাকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে আইসিইউ এর একজন চিকিৎসক গায়ে জ¦র দেখে ডেঙ্গু আশঙ্কায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মনিরুল সম্প্রতি ঢাকায় গিয়েছিলেন। আক্রান্ত রোগীদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তারা সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন। কেউ কেউ সেখানে চিকিৎসাও নিয়েছেন। রাজশাহীতে বাড়ি বলে ঢাকায় ‘চাপ’ কমাতে তাদের এখানে রেফার্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ২০ জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ এর সামনে কথা হয় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত পুলিশ সদস্য আতিকের বাবা বাবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার ছেলে বগুড়ায় কর্মরত। বগুড়া থেকে তাকে দুই মাসের জন্য পাবনা পাঠানো হয়। পাবনা থেকে সম্প্রতি পাঁচদিনের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা। সেখানেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হন আতিক। এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তাদের একমাত্র সন্তান। আতিকের স্ত্রী মাহিয়া আক্তার জানান, এ পর্যন্ত আতিককে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। আরও দিতে হবে কিনা তা চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইসিইউ ইনচার্জ ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, ডেঙ্গু সাধারণত দুই ধরণের হয়। প্রথমত সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর, দ্বিতীয়ত হেমোর্যাজিক ফেভার। আতিকের হেমোর্যাজিক ফেভার হয়েছে। তাই তার অবস্থা সংকটপন্ন। তবে আগের চেয়ে অবস্থা এখন কিছুটা ভাল। এদিকে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে শুধু আতিকই আইসিইউতে। বাকিরা ১৬ ও ১৭ নম্বর কেবিন এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাইফুল ফেরদৌস বলেন, রোগীরা সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন। এতেই রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সাধ্যমতো ভাল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও শনিবার আমরা একটি সমন্বয় সভা ডেকেছি।
×