ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোনারগাঁও হোটেল সংস্কারের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ জুলাই ২০১৮

সোনারগাঁও হোটেল সংস্কারের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁও হোটেলকে আরও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেবা ও আতিথেয়তার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সুখ্যাতি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। এ কারণেই এখনও এটিই দেশের শ্রেষ্ঠ হোটেল। এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার শ্রমিক কর্মচারীদের অপরিসীম শ্রম, ঘাম ও মেধার বদৌলতে। এখানকার প্রতিটি শ্রমিকের অবদান অনস্বীকার্য। বুধবার হোটেল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ ভাবেই সোনারগাঁও হোটেল সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন উপস্থিত আলোচকরা। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সচিব একেএম মহিবুল হক, শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। ইউনিয়ন সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শাহজাহান কামাল বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সোনারগাঁও হোটেল বড় ধরনের অবদান রাখছে। বিগত ৩৫ বছর ধরেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে অতিথি সেবা দিয়ে আসছে এই হোটেল। সেজন্য হোটেলটির সংস্কারে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি শ্রমিকদের মহার্ঘ্যভাতা ও লভ্যাংশ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন-সবই করা হবে। লভ্যাংশ নিয়ে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে একটা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। শ্রমমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সোনারগাঁও হোটেল কর্মচারীরা যে লভ্যাংশ ও মহার্ঘ্য ভাতা দাবি করেছে এটা শুধু দাবি নয়। এটা তাদের আইনগত অধিকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রম আইনের যে সংশোধন এনেছেন- তাতে সুস্পষ্ট এ দাবির বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখন যদি হোটেল কর্তৃপক্ষ সেটা বাস্তবায়ন না করে-তাহলে সেটা হবে বেআইনী। হোটেল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এ আল শরীফ লস্কর- হোটেলের কর্মচারীদের পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁও বরাবরই লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিরলস ও আন্তরিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার ফলে। তবে সে তুলনায় এখানকার শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দাওয়া কখনই পরিপূর্ণ হয়নি। এখন লভ্যাংশ ও মহার্ঘ্যভাতা বাস্তবায়ন করে শ্রমিকদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে। দুই দশক ধরে ইউনিয়নের নেতৃত্বদানকারী শরীফ লস্কর আরও বলেন-এখানকার প্রতিটি শ্রমিক একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। যে কারণে এখানকার কাজের পরিবেশও অনেক উপযোগী ও সুন্দর । এটা গর্ব করার মতো। এখানকার শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা ডিউটি করার পর অবসরে ট্রেড ইউনিয়নের কাজ করে। এ সময় সাড়ে ৩ শতাধিক অনকলার স্টাফের চাকরি স্থায়ীকরণ, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান, পোষ্যদের চাকরি প্রদানসহ বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। নৈশভোজের পর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাতে হোটেলের কর্মচারীরাও অংশ নেন।
×