ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশকে টি২০ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১২ মে ২০১৮

বাংলাদেশকে টি২০ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ খেলার কথা ছিল। সিরিজ হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়াতে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে সিরিজটি লাভজনক নয়। এ অযুহাতে সিরিজ বাতিল করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এ সিরিজের পরিবর্তে বাংলাদেশকে একটি টি২০ টুর্নামেন্ট খেলার প্রস্তাব রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সেটি ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপের আগে হতে পারে বলেও জানিয়েছে সিএ। পূর্ণাঙ্গ সফর বাতিল করাতেই এ টি২০ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব দিয়েছে সিএ। অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রস্তাব দেয়নি বিসিবিকে। মৌখিকভাবে সব বলছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেই সিরিজ নিয়ে আগে থেকেই অনিশ্চয়তা ছিল। এবার অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজ বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পরই বিসিবি জানিয়েছিল, বিকল্প নিয়ে কাজ করছে তারা। সেই বিকল্প ভাবনাটাও জানিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সফরটি হতে পারে আগামী বছরের শেষদিকে। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, হতে পারে ত্রিদেশীয় টি২০ টুর্নামেন্ট। যেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের সঙ্গে আরেকটি দল থাকবে। সেটি হতে পারে নিউজিল্যান্ড। অথবা অন্য কোন দল। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সামনে একই রকম সিরিজ আছে পাকিস্তান ও জিম্বাবুইয়েকে নিয়ে। ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজগুলোই এখন আর্থিকভাবে বেশি লাভজনক হচ্ছে বলে মনে করছে সিএ। সিএ’র এক মুখপাত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটকে জানান, ‘আইসিসির ভবিষ্যত সফরসূচীতে থাকা আগস্টে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরটি দুই বোর্ডের পারস্পরিক সমঝোতায় বাতিল করা হয়েছে। দুই বোর্ডই একমত হয়েছে যে বাতিল হওয়া সফরটি ভালভাবে পুষিয়ে দেয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ টি২০ বিশ্বকাপের আগে।’ তবে বিসিবি একমত হয়েছে বলে সিএ দাবি করলেও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের কথাই পরিষ্কার, বিসিবি সহমত নয়, ‘আমরা এখনও কোন ফরমাল প্রস্তাব পাইনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৯ সালের এফটিপি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কাজ করছে। যেটা হচ্ছে সেটা প্রক্রিয়াধীন। এই ধরনের ফরমাল কমিউনিকেশন হয়নি।’ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ একবারই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে ২০০৩ সালে। এরপর ২০০৮ সালে বাংলাদেশকে শুধু ওয়ানডে খেলতে ডেকেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার আইসিসির সফরসূচীতে থাকা সফর বাতিল হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সুযোগ আসতে পারে হয়তো কেবল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হলেই। বুধবার সিরিজ বাতিলের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, সিরিজ বাতিলে সময়টাই একটা বড় কারণ। ওই সময় অস্ট্রেলিয়া মজে থাকে ফুটবল মৌসুমে। মানুষের আগ্রহও থাকে সেদিকে। সিরিজটি না হওয়ায় দুই বোর্ডের মধ্যে বিকল্প আলোচনা চলছে জানায় ক্রিকইনফো। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর সিরিজটি বাংলাদেশে আয়োজন করা যায় কিনা তা নিয়েই নাকি চলছে আলাপ। বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী ক্রিকইনফোকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছি এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’ পরেরদিন বিসিবি থেকেও হতাশা প্রকাশ করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয় বলে বাংলাদেশের সফর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বাতিল করায় হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির সিইও জানান, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। তারা তাদের দিক থেকে দেখছে, বাণিজ্যিকভাবে কতটা উপযোগী হবে এটা তারা হিসেব করছে, এটা অবশ্যই দুঃখজনক। বিভিন্ন সময় আমরা যেসব সিরিজ করি তার সব যে লাভজনক হয় তা তো না। আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট রক্ষা করতে গিয়ে অনেক দেশকে হোস্ট করতে হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে যে সব লাভজনক ছিল তা না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেইসব সিরিজ আয়োজন করে। আমরা আশা করব যে, বড় বড় ক্রিকেট বোর্ডও তা করবে।’
×