পেনক্রিয়াটাইটিস হলো প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের প্রদাহ। এটি দেখতে অনেকটা (আম) পাতার মতো লম্বালম্বিভাবে উপরের পেটে এর অবস্থান। অগ্নাশয় ইনসুলিনসহ বিভিন্ন প্রকার হরমোন ও এনজাইম তৈরি করে যা কার্বোহাইডেট, চর্বি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার ডাইজেস্ট (হজম) করতে সাহায্য করে।
এটাতে প্রদাহ ছাড়া পাথর, সিস্ট, টিউমার এবসেস ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। পেনক্রিয়াস গ্রীক শব্দ যার অর্থ অগ্নি বা আগুন অর্থাৎ এই পেনক্রিয়াস (এর টিউমার বা প্রদাহ) এমনই একটি অঙ্গ যার প্রদাহ নিঃসৃত হরমোন বা এনজাইম আশপাশের সবকিছুকে ধ্বংস করে দেয়। তাছাড়া এর অবস্থানগত কারণেও পেনক্রিয়াসকে সহজে সার্জনরা অপারেশন করতে চান না।
কেন পেনক্রিয়াটাইটিস হয়
১। পিত্তে পাথর/পিত্তনালীতে পাথর।
২। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত কারণে
৩। আঘাতজনিত কারণে।
৪। পেটে অপারেশনজনিত কারণে।
৫। এলকোহল পান ইত্যাদি।
লক্ষণসমূহ
১। প্রচ- পেটে ব্যথা হয় সাধারণত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর।
২। রোগী নামাজের ভঙ্গিতে বসে গড়গড়া করে।
৩। বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
৪। পেট তুলনামূলকভাবে নরম থাকে।
ইনভেস্টিগেশন
১। পেটের ঢ-ৎধু
২। পেটের টঝএ
৩। রক্তের এমাইলেজ যা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
চিকিৎসা :
১। রোগীকে জরুরীভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
২। মুখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রেখে স্যালাইন দিতে হবে।
৩। সে সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধ ও গ্যাস্টিকের ওষুধ দিতে হবে।
৪। জটিলতা সৃষ্টি হলে অপারেশনও লাগতে পারে।
সঠিকভাবে ও সময়মতো চিকিৎসা না হলে বিভিন্ন প্রকার জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কি কি জটিলতা হতে পারে।
১। সিউডো-পেনক্রিয়াটিক সিস্ট।
২। পেনক্রিয়াটিক এবসসেস।
৩। বিভিন্ন প্রকার অর্গান ফেইলিওর হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এম এ হাসেম ভূঁঞা
জেনারেল লেপারোস্কোপিক
কলোরেক্টাল ও ক্যান্সার সার্জন।
মোবাইল : ০১৭১১-৫৩৩৩৭৩
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: