ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

চট্টগ্রামে দেবে যাওয়া তিন সেতু এখনো সংস্কার হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রামে

প্রকাশিত: ০০:২৫, ৩০ জুন ২০২৫; আপডেট: ০০:২৭, ৩০ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামে দেবে যাওয়া তিন সেতু এখনো সংস্কার হয়নি

ছবিঃ জনকণ্ঠ

বিগত বর্ষায় দেবে যাওয়া তিন সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউপির শোভনছড়িবাসী। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকাবাসী।

চুঁরখারহাট-বাংলাবাজার -শোভনছড়ি সড়কের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছে এসব সেতুগুলো। বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ আকার ধারন করা ভাঙ্গাপুল সেতু, মালুয়া ঘাটা সেতু, চিনিমনা কালর্ভাটটি যদি সংস্কার কিংবা পু:ন নির্মাণ করা না হয় তাহলে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সেতুগুলো পুরাটা ধসে যাবে এমনটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তখন একমাত্র যোগাযোগের পথটি একবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, সুয়াবিল ইউনিয়নের ৬ নং ওর্য়াডের চুঁরখারহাট-বাংলাবাজার -শোভনছড়ি সড়ক ফনি খালের উপর ভাঙ্গা সেতু, মালুয়াঘাটা সেতু এবং দুল্লাছড়ি খালের উপর চিনিমনা কালর্ভাটটি গত বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে এক পাশে দেবে গিয়ে  হেলে পড়েছে । ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওইসব সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ শত শত জিপ, সিএনজি, রিক্সাসহ যানবাহান। 

শোভনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেনীর ছাত্র হুমায়ুন উদ্দিন বাবলু ও অষ্টম শ্রেনী ছাত্র আশরাফুল ইসলাম বলেন- সেতু তিনটি হেলে পড়েছে বর্ষায় । ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। 

৭০বছরের কৃষক শাহ আলম জানান, শোভনছড়ি কৃষি নির্ভর এলাকা। সেতু গুলো একেবারে ধসে গেলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে নাজিরহাট তথা চট্টগ্রাম শহরে কৃষি পন্য নিয়ে যেতে বড় ধরনের সমস্যা হবে। 

সিএনজি চালক মো.জসিম ও সিএনজি চালক মো. সেলিম জানান, প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ন এ তিনটি সেতুর  উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। 

মালবাহী জীপের চালক মো. ঈসমাইল বলেন, মাঝে মধ্যে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বিকল্প আর কোন সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে ড্রাইভ করতে হয়। 

শোভনছড়ির বাসিন্ধা সিএনজির যাত্রী জুহুর মিয়া ও সালেহা খাতুন বলেন, শোভনছড়ি থেকে দায়েরাবাড়ি যাচ্ছি । গত বর্ষায় ধসে গেছে  সেতুগুলো । ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন বলেন, কৃষি নির্ভর প্রায় ২০হাজার মানুষের ভরসা এ সড়ক। এটি ছাড়া  বিকল্প আর কোন সড়ক নাই । তাছাড়া বারমাসিয়া চা বাগান, রাবার বাগানে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। বিগত সময়ে বন্যায় উক্ত সড়কের সেতুগুলোর এক পাশে ধসে গেছে । এ নিয়ে পুন:সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও এলজিআরডি বরাবর আবেদন করেছি । যদি এ সেতুগুলো পুনঃসংস্কার না হয় তাহলে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে বন্যায় পুরাটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভ্যাবনা বেশি। 

ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, ব্রিজ, কালভার্ট ও  সড়ক, দুটি প্রকল্পে ডিপিপি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে পরবর্তী কাজ হবে।
 

আলীম

×