
ছবি: জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন একটি পরিবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, মোবাইল, ল্যাপটপ, মাদক বিক্রির নগদ টাকাসহ একই পরিবারের ৫ জনকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। এ সময় বাড়িতে লাগানো সিসি ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৫ জুন) বিকালে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম সেনারবাদির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ, বিজিবি ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সেনারবাদি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কালু মিয়ার বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা, ৬০০ পিস মাদক জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৩২টি মোবাইল, ৬টি সিসি ক্যামেরা, ২টি ল্যাপটপ, মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা ও দুইটি পাওয়ার ব্যাংক উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে কালু মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৮), তার ভাই জনি মিয়া (২২), মোর্শেদ মিয়া (৩২), ইদন মিয়া (২৫) ও তার বোন আইমন আক্তার (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আখাউড়া থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালু মিয়ার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছে। সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিতে বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নিরাপদে মাদক ব্যবসা করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছে এই পরিবার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং যৌথ বাহিনীকে মাদকবিরোধী অভিযানে বাধা দেয়। আমরা সেই বাধা অতিক্রম করে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় বিপুল পরিমাণ মাদক, মোবাইল, ল্যাপটপসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় দুইটি মাদক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শহীদ