ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ফ্লাইওভারের পাশেই ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

মোঃ আশরাফুজ্জামান,কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:০৬, ২৪ জুন ২০২৫

ফ্লাইওভারের পাশেই ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

ছবি: সংগৃহীত।

ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ভাটিয়াপাড়া ফ্লাইওভারের পাশেই ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাম্পান, গ্রাম বাংলা হোটেল, ভাটিয়াপাড়া ও কাশিয়ানী বাজারের ময়লা আবর্জনা এখানে এনে ফেলা হয়। ডাম্বিং স্টেশন না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন  উপজেলর  বাসাবাড়ি, কারখানা ও বাজারের এবং স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টার, খাবার হোটেল, মাংস বিক্রেতারা উচ্ছৃষ্ট ময়লা ফেলা হয় দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়কের পাশেই।

এর ফলে এটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ কাশিয়ানী উপজেলাবাসী। কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া ও পোনার তিন রাস্তার সংযোগস্থল হওয়ায় এবং  খোল ও জনবহুল স্থানে এসব ময়লা ফেলায় বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। চার পাশে ছড়িয়ে পড়ছে  রোগজীবাণু, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তা ছাড়া ভাগাড়ের পশ্চিম পাশে রয়েছে র‍্যাব ৬ এর ক্যাম্প, দক্ষিণ পাশে জনবসতি এবং কাশিয়ানী বাসীর স্বপ্নের ফ্লাইওভার। উত্তর   পাশেই রয়েছে কাশিয়ানী প্যারামেডিকেল হাসপাতাল এন্ড কলেজ, কাশিয়ানী সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ,  বেশ কয়েকটি মসজিদ মাদ্রাসা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। ভাগাড়টি জনবসতি এলাকা থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি কাশিয়ানী উপজেলাবাসী'র।

এলাকাবাসী জানান, কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডাম্বিং স্টেশন না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন উপজেলা থেকে বাসাবাড়ি, কারখানা ও বাজারের এবং স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টার, খাবার হোটেল, মাংস বিক্রেতারা উচ্ছৃষ্ট ময়লা এখানে  ফেলে আসছে।

স্থানীয় বাসীন্দা মোঃ জামাল শেখ  জানান, ময়লার গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারি না। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা নাকে কাপড় চেপে চলাচল করে। জনবসতি এলাকা থেকে দূরে কোনো নির্জন স্থানে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলার দাবি জানান তিনি।

পথচারী মো. কামরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। পাশেই রয়েছে ভাটিয়াপাড়া গোল চত্বর ও কাশিয়ানী বাজার , যেখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। এই ময়লার  দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি মানুষেরও শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খোলা জায়গা থেকে মশা-মাছি জন্মায়। তাই খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জান্নাত বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা'র এই ময়লা-আবর্জনা জনবসতি এলাকায় না ফেলে দূরে কোথাও সরকারি জমিতে ফেলার যায় সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ডাম্বিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা আছে। আপতত এসব ময়লায় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে জনবসতি নাই এমন জায়গায় ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

সায়মা ইসলাম

×