
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছালেহা বেগম (৫৪) নামে এক নারীকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ভাগনি জামাই মো. সেলিমকে (৪৭) ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়নের চর সামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় থানা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভাগনি জামাই সেলিম দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রি করতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়িতে বেড়াতে এসে খালা শাশুড়ি ছালেহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত রোববার (১৫ জুন) রাতে এশার নামাজের পর আসামি মো. সেলিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে ছালেহাকে ঘর থেকে ডেকে পাশের নুরু মিয়া সর্দারের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাতভর ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে ছালেহার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ৩টি আংটি, কানের দুল ও গলার চেইনসহ মোট ১৪ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় সেলিম।
পরদিন দুপুরে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে শিশুরা খেলতে গিয়ে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর থেকেই সেলিম পলাতক ছিলেন। মৃত ছালেহার মোবাইল কললিস্ট বিশ্লেষণ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং জানান, লুট হওয়া স্বর্ণালংকার আশুলিয়ার বটতলী এলাকার শুভ জুয়েলার্সে বন্ধক রেখেছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে সেই দোকান থেকে স্বর্ণালংকার জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে পরে জানানো হবে।”
সজিব