
ছবি: জনকণ্ঠ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইউম বলেছেন, বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিকে বাণিজ্যিকীকরণ করেছে। ফলে দেখা গেছে, ৩শ’ আসনের মধ্যে ২শ’ জনই ছিলেন শিল্পপতি এমপি।
সোমবার (২৩ জুন) বিকাল ৫টায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর কাশিমপুর তানজিম কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইউম বলেন, যে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে এসেছেন, তারা রাজনীতিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছেন। সে সময়ে কোনো সৎ, দেশপ্রেমিক মানুষ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। কালো টাকায় সয়লাব হয়ে গেছে রাজনীতি। যা দেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।
দলটির সহকারী মহাসচিব বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থে বিগত ৫৪ বছর ধরে দেশের সংবিধান মন মতো পরিবর্তন করেছে। আমরা সংবিধানের সংস্কার চাই। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা দাবি করে আসছি পিআর পদ্ধতি চালুর। ভোটাররা কোনো ব্যক্তিকে নয়, প্রতীকে ভোট দেবেন। এতে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধ হবে। দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না।
জুলাই বিপ্লব স্মরণ করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে দুই হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। ৫০ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়েছেন। আমরা এই ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মো. জয়নুল আবেদীন। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি মো. শাহজাহান, সেক্রেটারি মো. বাবুল হোসেন, পূর্ব শাখার সভাপতি মো. কবির শিকদার, সেক্রেটারি মুফতি শেখ বোরহান উদ্দিন, দোহার উপজেলার সভাপতি হাফেজ মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মেরাজ হোসাইন, পৌরসভার সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আব্দুল মালেকসহ দুই উপজেলার তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা-১ আসন (দোহার-নবাবগঞ্জ) সংশ্লিষ্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নবাবগঞ্জ উপজেলা পূর্ব ও পশ্চিম শাখা, দোহার পৌরসভা ও দোহার উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। ফলাফল কেন্দ্রীয়ভাবে জানানো হবে বলে জানানো হয়। পরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
শহীদ