ঢাকার পল্টন থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বি খানসহ এখানকার শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলা থেকে রক্ষায় এবং পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্যাডে দেওয়া একটি প্রত্যায়নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে এরা বিএনপির সক্রিয় কর্মী। ওই প্রত্যয়নের মধ্যে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি খানের নামও রয়েছে। যা নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সূত্র মতে, ওই মামলায় কলাপাড়া উপজেলার শতাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর পাশাপাশি নিরীহ সাধারণ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির অনেকেই এটি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি বিএনপির প্যাডে ছাত্রলীগ নেতাসহ কয়েকজনকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যায়ন দেওয়া নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে পল্টন এলাকায় হত্যা চেষ্টার একটি ঘটনা দেখিয়ে এ বছরের ৮ মে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মো. বেল্লাল। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বি খানকে ১১৯ নম্বর আসামি করা হয়। এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ১২ জুন ২০২৫ চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্যাডে সভাপতি, সম্পাদক সক্রিয় বিএনপির কর্মী হিসেবে ৮ জনের নাম সুপারিশ করেন। যেখানে ৫ নম্বরে রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বির নাম। তালিকাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে।
চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিলন জানান, ওই সুপারিশকৃত তালিকাটি তাঁদের স্বাক্ষরিত নয়। এটি ভুয়া। মূলত ওই মামলায় বিএনপির নিরীহ লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনা করেছি। তারা এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয় নিয়ে ওই মামলার বাদীর সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রিফাত
