
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের খাস মহেশপুর গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা মো: নজরুল ইসলামের কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয় ভীতি দেখানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ৭ জুলাই সকাল ১১ টায় খাস মহেশপুর গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর বিমল চন্দ্র সাহাসহ লোকমান হোসেন ডাকুয়া, মিজানুর রহমান,জিয়াউর রহমান রিপন খন্দকার, মোঃ মোকলেচুর রহমান, কালাম ডাকুয়া, শিবু দাস, জাহিদুল ইসলাম বাবু, রুহুল আমিন মাছুম, আসাদুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে অর্ধশত লোকজন উপস্থিত হয়ে নজরুল ইসলামের পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ককটেল বিস্ফোরন করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের পূর্বহতে দাবিকৃত চাঁদার টাকা বাবদ নজরুল ইসলামের নিকটে থাকা নগদ ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৬ জনতা নেতা কর্মীদের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আইন সবার জন্য সমান এবং যেকোনো প্রকার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের।
এদিকে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
মামলাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।
রাজু