ছবি: সংগৃহীত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মধ্য ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে এক ভবনে আঘাত হানার ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন ১০ বছরের শিশু রয়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এক নারী, ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা এবং অজ্ঞাত বয়সের এক মেয়ে।
ঘটনাস্থলে এখনো অনেক মানুষের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। বাত ইয়ামে বড় পরিসরে উদ্ধার অভিযান চলছে। শহরটির মেয়র তসভিকা ব্রট জানিয়েছেন, “নিখোঁজের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, তবে অনেকেই এখনো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাই আমরা তাদের খোঁজেই এখন সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।”
রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনের অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে, মাটিতে বিশাল ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন, আর নিরাপত্তা কর্ডনের পেছনে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়েছেন।
মেয়র ব্রট জানান, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ভবনটিতে আঘাত হানে। আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় জানালার কাচ ভেঙে গেছে, জানালার ফ্রেম ছিঁড়ে গেছে দেয়াল থেকে।
বর্তমানে কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে পরিবারের জন্য সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তুলছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকাতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল পুলিশ বাহিনীর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট ডিন এলসডান জানান, “ইরান থেকে ব্যাপক পরিমাণ রকেট হামলার পর আমরা একাধিক আঘাতের স্থান থেকে রিপোর্ট পেয়েছি।” তিনি বাত ইয়াম শহর থেকে এক ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, “আমরা বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তায় সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি এবং দুঃখজনকভাবে এর মধ্যে মৃত্যুও ঘটেছে।”
পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিখোঁজদের খুঁজে বের করা এবং ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।
এই হামলায় মধ্য ইসরায়েলের দুটি স্থানে মোট ১৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, উত্তর ইসরায়েলে আরও এক দফা হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, ফলে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন হামলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে।
সূত্র: সিএনএন
আবির
