
লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পবিরোধী নো কিংস বিক্ষোভে হাজারো মানুষ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শহর ও নগরগুলোতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। নো কিংস নামের একটি গোষ্ঠী এ বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে। ট্রাম্পের উদ্যোগে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এক বিরল সামরিক প্যারেডের বিরোধিতা করে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠকরা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে কয়েকশ’ বিক্ষোভে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। রবিবার নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী ব্রাউন বেরেটসের সদস্য হোসে অ্যাজেটক্লা লস অ্যাঞ্জেলেসে বলেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ করতে তিনি রাস্তায় নেমে এসেছেন। খবর বিবিসির।
এর আগে থেকেই ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে লস অ্যাঞ্জেলেস ও অন্যান্য শহরে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছিল। নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও হিউস্টনে জনতা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা দুলিয়ে ও ট্রাম্পবিরোধী বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। এসব শহরের সমাবেশগুলোতে আইনপ্রণেতা, ইউনিয়ন নেতা ও আন্দোলনকারীরা বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সামরিক প্যারেডের উদ্যোগ নেন ট্রাম্প। দিনটি তার ৭৯তম জন্মদিনের সঙ্গে মিলে গেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় ঘোষিত সময়ের আগেই প্যারেড শুরু করা হয়।
প্যারেডে কেউ কোনো ধরনের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ করে তা দমন করা হবে বলে ট্রাম্প আগেই সতর্ক করেন। ফিলাডেলফিয়ার বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় লাভ পার্কে জড়ো হয়। সেখানে উপস্থিত সেবিকা ক্যারেন ভ্যান ট্রিয়েস্ট বলেন, আমি শুধু অনুভব করেছি আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা উচিত। তিনি জানান, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো থেকে ট্রাম্পের কর্মী ছাঁটাই তার রাস্তায় নেমে আসার অন্যতম কারণ। সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম যে শহরগুলোতে হয়েছিল সেগুলোর একটি লস অ্যাঞ্জেলেস। এই শহরটিতে আগে বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ, কখনো কখনো সহিংস প্রতিবাদ হওয়ায় নেতারা ও আইনপ্রয়োগকারীরা উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলেন।
এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের ক্রোধ উপেক্ষা করে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনে অঙ্গরাজ্যের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের ফেডারেল ভবনের কাছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের সংঘর্ষ হয়েছে আর জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সেখানে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। কিন্তু এক কী দুই ব্লক দূরে শত শত বিক্ষোভকারী শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়।