
ছবি: সংগৃহীত
কানাডার বানফে শুরু হয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী সাতটি অর্থনীতির সংগঠন জি-৭ সম্মেলন, কিন্তু আলোচনার মূলে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত। বিশেষ করে ইসরায়েল ও ইরান-এর চলমান উত্তেজনার ছায়া স্পষ্টভাবে পড়েছে এই বৈঠকে। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, দুই অতিথি দেশ ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের আগ্রাসন-এর নিন্দা জানিয়ে জি-৭ মঞ্চে ভিন্নমাত্রার কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে।
জি-৭ সদস্য নয় এমন আটটি দেশকেও এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকেই গাজা পরিস্থিতি নিয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছে এবং তারা এবার সরাসরিই ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ-কে 'অমানবিক ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী' বলে উল্লেখ করে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সম্মেলনে যোগদানের পর ঘোষণা দেন যে, তাঁর দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নিজের সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করবে। যদিও যুক্তরাজ্যের সেখানে বড় পরিসরের কোনো সেনা মোতায়েন নেই, তথাপি ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র তিনিই এমন একজন নেতা যিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, নেতানিয়াহু আদৌ ট্রাম্পের কথা শুনবেন কি না!
মুমু ২