ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

প্রাণিসম্পদের সমস্যা লাঘবে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২০:০৭, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:০৭, ১৪ জুন ২০২৫

প্রাণিসম্পদের সমস্যা লাঘবে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোর গুরুত্ব বাড়ানো সম্ভব। এজন্য বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দেন তিনি।

শনিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএলআরআই-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গবেষণা পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “প্রাণিসম্পদের সমস্যা নিরসনে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ দফতরের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। যুব উন্নয়নের একটি বড় অংশ হতে পারে প্রাণিসম্পদভিত্তিক প্রশিক্ষণ। তরুণ ও নারী খামারিরা নিজেদের কর্মতৎপরতার মাধ্যমে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “গরু-ছাগল কিংবা হাঁস-মুরগি পালন করেও কেউ বড় উদ্যোক্তা হতে পারেন। কৃষি দফতরের পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।”

গবেষকদের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশীয় বিজ্ঞানীদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা না দিলে বিদেশনির্ভর হয়ে থাকতে হবে। শুধু বিদেশি বই পড়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না, নিজেদের উদ্ভাবিত জ্ঞান ও প্রযুক্তিই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর।”

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) চামড়ার ওপর কী প্রভাব ফেলে তা নিয়েও গবেষণার আহ্বান জানান তিনি।

প্রণোদনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “কৃষিতে বিদ্যুৎ বিল ভর্তুকির আওতায় থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে তা নেই। তবে জেনেছি, সংশোধিত বাজেটে এ খাতের খামারিদের জন্য ৩০৩ কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”

এর আগে, ‘উন্নত প্রযুক্তিতে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও ভ্যালু এডেড পোল্ট্রি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিম উৎপাদন বাড়ানো গেলে তা সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী আমিষের যোগান নিশ্চিত করবে।”

এসময় অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “খাদ্যের মাধ্যমে মানবদেহে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। নিরাপদ ফিড উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং সারা দেশে ছোট ছোট খামার গড়ে তুলতে হবে।”

কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী এবং বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের পরিচালক সাইফুদ্দিন। এ সময় স্থানীয় খামারিরা তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

আসিফ

×