
ছবি: জনকণ্ঠ
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক সাংবাদিক ফারজানা রুপা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের দাফন-কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো মায়ের লাশ দেখেন। এ সময় ফারজানা রুপার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমদও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে একইসঙ্গে দাফন-কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো শাশুড়ির লাশ দেখেন।
পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিক দম্পতিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবার (১১ জুন) বিকেলে মুক্তি পেয়ে সাংবাদিক দম্পতি পুলিশ পাহারায় ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামের বাড়িতে এসে মায়ের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন।
এ সময় ফারজানা রুপার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো না থাকলেও শাকিল আহমদের এক হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো ছিল। মায়ের দাফন-কাফন শেষে বুধবার রাতেই তাদেরকে পুনরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা ও শাকিল আহমদের শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর সেহরা ধোপাখলা এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ আছর ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমদের জন্য অপেক্ষা করা হয়। রাত পৌনে নয়টার দিকে তারা মায়ের লাশ দেখার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক দম্পতি ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এ সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মেহেদী কাউসার