
ছবিঃ জনকণ্ঠ
কোরবানির পর পশুর মাংস হাড় কাটতে গিয়ে গিয়ে আহত হয়ে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শনিবার(০৭ জুন)চিকিৎসক জানিয়েছেন,দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা বেশিরভাগই যুবক ৷
শখের বশে কোরবানির পর পশুর হাড় মাংস কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন।তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজন পেশাদার কসাইরাও আছেন।
আহতরা বলেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় কাটতে হয়েছে হাত পা। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর যেতে হচ্ছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ নামের এক যুবক বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙ্গুলে লাগে। প্রথমেও টের পাইনি পরে দেখি, রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আশায় তিনটি সেলাই করতে হয়েছে।
সদর উপজেলার ভুবন ঘর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে - আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মোঃ রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটি সময় ছুরি বা চাপাতি পিছিলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।
ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জোবায়ের জানান, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই একদিনের জন্য মাংস কাটাকুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙ্গুলে এবং পায়ে আঘাত। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ৩০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আলীম