
ছবি: জনকন্ঠ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৮ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত ১৮ ঘন্টার মধ্যে তিনটি পৃথক স্থানে এইসব দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- শুক্রবার (৬ জুন) বিকেলের দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের মহদীপুর ইউনিয়নের সৃষ্টিরতল নামকস্থানে বাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় অটোরিকশায় থাকা ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন উপজেলার বেতকাপা ইউপির খামার নড়াইল গ্রামের নছির উদ্দীনের ছেলে অটোচালক গনি মিয়া (৪০), সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত(১৮) ও ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইবনুরুল (১৮)।
এদিকে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এছাড়া একই দিন বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ-ঘোড়াঘাট সড়কের বোগদহ কলোনি এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজি চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের চাঁপড়ীগঞ্জ নামক স্থানে রোড ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাস্থলেই আনোয়ার হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন বেগম (২৫) নিহত হয়েছেন।
নিহত আনোয়ার হেসেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শিলকুড়ি ইউপির কাঠগিরি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। তারা দু’জনেই গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৮ ঘন্টার ব্যবধানে জেলায় ৮ জন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় ঈদকে সামনে রেখে নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে দুষলেও অনেকের মতে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
এসব সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে ওসি মোজাফ্ফর হোসেন। তিনি বলেন, "ওইসব স্থানে দুর্ঘটনার ব্যাপারে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে।"
Mily