
মাত্র ১৬টি কোয়েল পাখি নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করে বাজিমাত করে দেখিয়েছেন পটুয়াখালীর নাহিদ। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে চার হাজারেরও বেশী কোয়েল পাখি।
এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ টি ডিম উৎপাদন করেন নাহিদ, যা বিক্রী করেন স্থানীয় বাজারে। যা ঘুরিয়েছে তার ভাগ্য। বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা।
শুরুতে শখ থেকে কোয়েল পালন করলেও বর্তমানে নিজ বসতবাড়ির সামনে একটি টিনসেড ঘরে বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালন করছে উদ্যোক্তা নাহিদ।
নাহিদ ইসলাম জানান, " শখের বসেই কোয়েল পালন শুরু করেছিলাম, শুরুতে মাত্র ১৬ টি কোয়েল নিয়ে শুরু করি। এখন আমার খামারে প্রায় চার হাজার পাখি রয়েছে। পাখি পালনে নিজেকে সফল মনে করি। পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন আসেন কোয়েল পালনের কৌশল।শিখতে।"
বর্তমানে পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে নাহিদের উৎপাদিত কোয়েলের ডিম। প্রতিহালি ডিম ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছেন তিনি। ডিম ছাড়াও এখানে পাওয়া যাচ্ছে কোয়েলের মাংস। মাংসের জন্য প্রতিটি কোয়েল বিক্রী করছেন ৬০ টাকা মূল্যে।
এখান থেকে কোয়েল সংগ্রহ করে বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতেও রোস্ট করে পরিবেশন করছেন স্থানীয়রা। যা সত্যিই সুস্বাদু।
নাহিদ ইসলাম পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হেতালিয়া বাধঘাট এলাকার মাইনুল ইসলাম স্বপনের পূত্র। বর্তমানে তিনি স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তার এমন সাফল্যে খুশি তার পরিবার।
নাহিদের বাবা জানান, "কোয়েল পালনে আমার ছেলে এমন সফল হবে কখনো ভাবিনি, আল্লাহর রহমতে ওর সফলতায় আমরা খুব ই খুশি।"
দেশের বেকার তরুণদের চাকরির পেছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে উদ্যোক্তা হওয়ারও আহবান জানান নাহিদ, কেউ কোয়েল পালন করতে চাইলে স্বেচ্ছায় দিতে চান প্রশিক্ষন ও পরামর্শ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ সাইদ হাসান বলেন, কোয়েলের মাংস এবং ডিম গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট। কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল এর পরিমান কম এবং আমিষ বেশি। কোয়েল পালনের সুবিধা হচ্ছে কোয়েল দ্রুত বাড়ে। একটি পাখি বছরে ২৫০-২৬০টি ডিম দেয়। কোয়েল পালনে রোগবালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে।
অযথা বেকার সময় পার না করে নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সফল উদ্যোক্তা নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার অধ্যায়ে নাহিদ ইসলাম হতে পারে এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
রাজু