
শেষ সময়ে টং টং শব্দে মূখর পটুয়াখালীর কামারপাড়া। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দা, বটি, ছুরি চাপাটিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সান দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কামাররা। বছরের অনান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে তাদের নিকট লক্ষ্য করা যায় গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়।
কথা হয় পটুয়াখালীর বোতলবুনিয়ার গ্রামীণ হাটে আসা ছোটবেলা থেকে এ পেশায় কাজ করা সদর উপজেলার লাউকাঠীর বাসিন্দা তারক কর্মকারের সাথে। তিনি জানান, শুরুতে মাত্র আট আনা (৫০ পয়সা) পয়সায় দা, বটিতে ধার দিতাম। এখন দিচ্ছি ৮০ টাকা করে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদুল আযহা আসলে আমাদের কাজের পরিমান বেড়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য সময়ে তেমন কাজ পাওয়া যায়না। অলস সময় কাটাই তখন। বাবা দাদা সবাই ছিলেন এ পেশায়। বর্তমানে বংশের অনেকেই এ পেশা ছেড়ে গেছেন। তারা নিয়োজিত হয়েছেন অন্য পেশায়। কেউ কেউ করছেন অন্যান্য ব্যবসা। বর্তমানে এ পেশায় তেমন আয় ও সম্মান কোনোটাই পাইনা।
তারক কর্মকারের সাথে সান দেয়ার কাজ করছেন কনে জামাই সেন নাথ। মেশিন দিয়ে একপাশে বসে দা এর ধার তুলে শ্বশুরকে সাহায্য করছেন তিনি ।
হাটে আসা স্থানীয় বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক ইসমাইল হোসেন জানান, "বর্তমানে এখানকার কামাররা দা বটিতে সান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। অল্পসংখ্যক কামার হওয়ায় তারা এত পরিমান দা বটিতে সান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে তারা বছরের অন্য সময়ে তেমন কাজ পান না। বলা যায় স্বল্প আয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।
কর্মই মানুষের ধর্ম। আমাদের উচিৎ সকল পেশাকে সম্মান করা। তবেই স্বার্থক হবে মানবজনম। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি হৃদয়
রাজু