
ছবি: জনকণ্ঠ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়ের টুকরো, দা, চিরকুট, গোলাপ জলসহ দাফনের যাবতীয় সামগ্রী রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কে বা কারা এগুলো রেখে যায়। চিরকুটে লেখা ছিল— ‘তোরা চাচা-ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ।’ এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সরদার ও তার ভাইপো যুবদলের সদস্য আবু তাহের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা দুপুরে মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, পাশাপাশি দুটি বাড়িতে থাকেন বিএনপি নেতা শাহজাহান সরদার ও যুবদল নেতা আবু তাহের। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও তারা বাসায় ঘুমাতে যান। ভোরে বিএনপি নেতা শাহজাহান মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে দেখতে পান, উঠানের সামনে বেলগাছে একটি সাদা প্যাকেট ঝুলছে। কৌতূহলবশত প্যাকেটটি নামিয়ে তিনি দেখতে পান এর ভিতরে দুই টুকরো কাফনের কাপড়, একটি দা, গোলাপ জল, আতর, আগরবাতি, সুরমা ও একটি চিরকুটসহ দাফনের যাবতীয় সামগ্রী রাখা আছে। চিরকুটে লেখা ছিল— ‘তোরা চাচা-ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ।’ এরপর থেকেই এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, “ভোরে প্যাকেটে কাপড়ের টুকরো, দা, চিরকুট দেখে আতঙ্কে আছি। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছে। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাড়া থেকে লোকজন আমাদের বাড়িতে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের জানিয়েছি এবং থানায় অভিযোগ করেছি। ধারণা করছি, ২০২১ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা করেছিল। হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন তারা নতুন করে পরিকল্পনা করছে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে এই হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।”
এই বিষয়ে কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলেও শাহজাহানের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি দিতে এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, “ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
এম.কে.