
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে আজিমকে (৩৮) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদকাসক্ত ছেলের জালা যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে ছেলে আজিমকে টিপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার দুই ভাই ও মা-বাবা। সোমবার (২ জুন) সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘারমোড়ার নাজিরাপট্টি এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা আনোয়ারা বেগম (৫৫)কে আটক করেছে। তবে পিতা ও দুই পুত্র পলাতক রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম। নিহত আজিম বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘারমোড়ার নাজিরাপট্টি এলাকার মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে ও আজিম ২ সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিহত আজিম একজন চিহ্নিত মাদক সেবী ও কারবারী। মাদক সেবনের জন্য সে মা বাবা ভাই বোন সবার কাছ থেকে টাকা নিতো। মাদক সেবনের টাকা না পেলে মা বাবা ভাইদের মারধর করতো আজিম। স্থানীয় এলাকাবাসী কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিতো না। তার সিমাহীন অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো স্থানীয় এলাকাবাসীও। সোমবার সকালে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজিমের সাথে তার পিতা এবং ভাইদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পিতা মোহাম্মদ আলী, ভাই দিদার ও অনোয়ার মাদকসেবী আজিমের অমানবিক নির্যাতন সইতে না পরে ক্ষিপ্ত হয়ে ইট দিয়ে বুকে আঘাতসহ শ্বাসরোধ করে আজিমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তবে নিহতের স্ত্রী দাবি করেন, তার শ^শুর র্দীঘ দিন ধরে অসুস্থ। আজিম চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা দিতে পারে না বলে তর্কাতকির এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথমিক ভাবে জানা গেছে নিহত আজিম মাদকাসক্ত ছিলো। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাবা মাকে মারধর করতো। পরিবারের সদস্যরা তার জালা যন্ত্রণায় অতিষ্ট ছিলো বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা আনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী দিপা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Jahan